নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এবার খামার থেকেই অনলাইনে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি বিক্রি শুরু হয়েছে কোরবানির পশু। করোনা পরিস্থিতিতে হাটে যাওয়ার ঝামেলা এড়াতে এখন খামার থেকেই পশু কিনছেন অধিকাংশ ক্রেতা। চাহিদা অনুযায়ী পশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় ৬০ ভাগ পশু।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার জানান, কোরবানির প্রায় ১৫ দিন বাকি থাকলেও নারায়ণগঞ্জের বন্দরের শতাধিক খামারে পুরোদমে শুরু হয়েছে অনলাইনে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি কোরবানির পশু বিক্রি। কোনো ঝামেলা না থাকায় এবং খামারগুলো যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন থাকায় ক্রেতারা ছুটছেন এ সব খামারে। করোনাকালে অনলাইনে পশু কেনার জন্য ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বন্দর উপজেলার দাসেরগাঁ, মুছাপুর, ধামগড় ও মদনগঞ্জ এলাকায় গ্রামীণ মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে এসএস ক্যাটেল, স্টার ও পূর্বাসহ ছোট-বড় শতাধিক খামার। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য এসব খামারে কয়েক হাজার গরুর সঙ্গে রয়েছে ছাগল-ভেড়া ও মহিষ। এখানে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা দামের গরুও রয়েছে।
অনলাইনে পছন্দ হলে খামারে এসে বুকিং দিয়ে যান ক্রেতারা। বিক্রি করা পশু খামারেই রেখে দেয়া হয়। ঈদের ২-১ দিন আগে বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে কিংবা ক্রেতারা এসে নিয়ে যাবেন।
এসএস ক্যাটেল ফার্মের মালিক লুৎফর রহমান স্বপন জানান, খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। গরু লালন-পালনও হয়েছে সুস্থ সুন্দর পরিবেশে বৈজ্ঞানিক উপায়ে। এখানে ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরু। গত বছরের চেয়ে এবার বিক্রি ভালো। এরই মধ্যে খামারের প্রায় ৬০ ভাগ পশু বিক্রি হয়ে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার জানান, নারায়ণগঞ্জে এবার সাড়ে ৩ হাজার খামারে রয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার কোরবানির পশু। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এসব পশু।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.