বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তুমুল সমালোচনরা মুখে পড়েছেন। রাজধানী দিল্লির সাম্প্রতিক হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ও সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, পার্লামেন্টের ভেতর-বাইরে আক্রোশের শিকার হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতারা।
জানা গেছে, ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পড়ে আপাতত 'পরে আলোচনার' কৌশল নিয়েছে শাসক দল। কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, বিএসপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দলের তুমুল হট্টগোলের মুখে রাজ্যসভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। লোকসভার অধিবেশনও মুলতুবি হয়েছে দফায় দফায়। আর লোকসভার বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ‘গান্ধীর তিন বাঁদর’-এর অনুকরণে প্রতিবাদে শামিল হন তৃণমূল ও কংগ্রেস সাংসদরা।
সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিনে দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই আলোচনার প্রস্তাব দেন বিরোধীরা। আর দিল্লির এই সংঘর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি তোলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা গোলাম নবি আজাদ।
ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে স্পিকার বলেন, ‘বিষয়টি অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচনার যোগ্য। আপাতত আমাদের প্রাধান্যে দেওয়া উচিত স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর বিষয়টিকে। যদি সেটা হয়, তখন আলোচনা করা যাবে।’ এ সময় বিরোধী আইনপ্রণেতারা হই-হট্টগোলের পাশাপাশি ওয়েলে নেমে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে রাজ্যসভার চেয়েও বেশি বিশৃঙ্খলা হয়েছে লোকসভায়। অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করে তুমুল হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা। লোকসভার স্পিকারও জানিয়ে দেন, ‘অবস্থার উন্নতির জন্য আমরা অপেক্ষা করবো। তার পর আলোচনার অনুমোদন দেবো।’
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতাদের উসকানির পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডব শুরু হয়। টানা ছয় দিনের সহিংসতায় নিহত হয় অন্তত ৪৬ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই তাণ্ডবে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.