বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংকসমূহ তাদের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং না করলে অচিরেই আবারো সাইবার হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষক ও বিশ্লেষক তানভীর হাসান জোহা।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইকোনোমিক্স রিপোর্টার ফোরামে (ইআরএফ) অনুষ্ঠিত ‘এটিএম হ্যাকিংয়ের নেপথ্যে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। বহুজাতিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ব্যাকডোর প্রাইভেট লিমিটেড এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জোহা বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের পর নেটওয়ার্ক সুরক্ষাকল্পে দক্ষ জনবল আর কাঠামো তৈরির জন্য সরকার একাধিকবার ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা প্রতিপালন না করায় সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক একাধিক সার্কুলার জারি করে বিষয়টি সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের মনে করিয়ে দেয়।
তানভীর বলেন, ‘আর্থিক লেনদেন সুরক্ষা করতে হলে ব্যাংকগুলোর সিস্টেমকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার (এসওসি)।’
দেশীয় হ্যাকারদের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ও আইন বিরোধী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তানভীর হাসান জোহা বলেন, ‘শুধু বিদেশি নয়, দেশীয় হ্যাকারদেরও আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা না নিলে তারাও আমাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্যাকডোর প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিশ্বে অনেক দেশ যখন ক্যাশবিহীন লেনদেনে চলে যাচ্ছে তখন বিগল বয়েজের তৈরি এক ম্যালওয়ারের কারণে আমরা এটিএম বুথ বন্ধ করে লেনদেন সীমিত করছি এবং গ্রাহকদের এক রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছি। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সিস্টেম কতটুকু নিরাপদ, তা ম্যালওয়ারের অনুপ্রবেশ এবং হ্যাকিং ঠেকাতে সক্ষম কিনা, দুর্বলতাগুলো কোথায় এবং কীভাবে অনলাইন ব্যাংকিং নিরাপদ করা যায়-এসব বিষয়গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.