বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : বহুল আলোচিত অস্ত্র মামলার রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহেদকে আদালতে এনে গারদখানায় রাখা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতেই বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত রায়ের জন্য ২৮ সেপ্টেম্ববর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গেল ১৬ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’ দাবি করে ন্যায়বিচার চান শাহেদ করিম। ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতের কাছে শাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
গেল ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুলের সাক্ষগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে তিন ধাপে ১১ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
একই আদালতে গেল ১৩ সেপ্টেম্বর ৫ জন ও পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর আরও ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট অস্ত্র মামলায় শাহেদের বিরুদ্ধে একই আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু হয়।
গত ৩০ জুলাই ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় শাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শায়রুল।
করোনা ভাইরাস নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট জালিয়াতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ৭ জুলাই শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়। শুরুতে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে দেয়া হলেও পরে তা র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শাহেদকেও হস্তান্তর করা হয় র্যাবে।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। শাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.