পরিক্রমা ডেস্ক : ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) ১৫ জুলাই ২০২৩ বাংলা মোটর-এ অবস্থিত আইসিএসবি প্রাঙ্গণে ‘ভ্যাট ও কর্পোরেট আয়কর’ বিষয়ক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিভিন্ন সরকারী সংস্থা, কর্পোরেট হাউস এবং সিএস প্র্যাকটিসিং সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে সদ্য প্রবর্তিত আয়কর আইন, ২০২৩ এর উপর প্রাণবন্তভাবে আলোচনা করা হয়।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আইসিএসবি-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব এম নুরুল আলম এফসিএস। তিনি প্রশিক্ষণের রিসোর্স পার্সনদের সকল অংশগ্রহণকারীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং সকলকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে সদ্য প্রবর্তিত আয়কর আইন, ২০২৩ এ আনা পরিবর্তন সমূহ সম্পর্কে হালনাগাদ জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন।

দিনব্যাপী আয়োজিত প্রশিক্ষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ আব্দুল মান্নান সিকদার, প্রাক্তন সদস্য (গ্রেড-১), কাস্টমস অডিট, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, জনাব কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, কমিশনার, কাস্টমস রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিশনারেট এবং আইভিএএস ইউনিট। এছাড়াও জনাব মোহাম্মদ রেফাউল করিম চৌধুরী এফসিএ, ভ্যাট কনসালটেন্ট ও ট্রেজারার, বাংলাদেশ ভ্যাট বার অ্যাসোসিয়েশন, জনাব মোঃ হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ভ্যাট বার অ্যাসোসিয়েশন, জনাব মোঃ শাহজাহান আলী মল্লিক, সদস্য, ঢাকা ট্যাক্স বার অ্যাসোসিয়েশন রিসোর্স পার্সন হিসাবে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।

প্রশিক্ষণে আয়কর আইন, ২০২৩, আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী বিধিমালা, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর এবং সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষকগণ ভ্যাট সিস্টেম এবং ভ্যাট নিবন্ধন প্রক্রিয়া, ভ্যাট সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ তুলে ধরেন। এছাড়া অডিট ও তদন্ত, ভ্যাট কর্তৃপক্ষ, ভ্যাট এবং এসডি পুনরুদ্ধার, ভ্যাট ফেরত, শাস্তি, ভ্যাট রিটার্ন, ভ্যাট এজেন্ট, ভ্যাট পরামর্শদাতা এবং প্রতিনিধি, কর্পোরেট ট্যাক্স গণনা, আয়কর অধ্যাদেশ,‌ ১৯৮৪ এবং আয়কর আইন, ২০২৩ এর মধ্যে তুলনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

সমাপনী বক্তব্যে, আইসিএসবি-এর প্রেসিডেন্ট জনাব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস ভ্যাট এবং কর্পোরেট আয়কর নিয়ে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সমূহ তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন যে আইসিএসবি-এর এই উদ্যোগ অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং তাদের জ্ঞানকে ক্রমাগত পরিবর্তিত কর্পোরেট বিশ্বের প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখতে সহায়তা করবে। তিনি জানান, আগামী দিনেও দেশের কোম্পানি সচিব ও কর্পোরেট নির্বাহীদের পেশাগত মানোন্নয়নে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে জনাব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।