স্টাফ রিপোর্টার
চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা আগামি বছরের প্রথমে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখন থেকেই বইতে শুরু করছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিএনপি মাঠে না থাকায় সরব আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। দলীয় নৌকা প্রতীকের টিকেট পেতে কেন্দ্রের দিকে থাকিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ‘কে পাচ্ছেন চাঁদপুর- ২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকেট?’ -চায়ের কাপ থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন আলোচনা।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে হাই কমান্ডে লবিংয়ে ব্যস্ত।
এই আসনে নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (এসি মিজান)। তাকে দলীয় প্রার্থী দেখার দাবি তার অনুসারীদের। নির্বাচনী আসন চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) এর বিভিন্ন পয়েন্ট ও মেইন রোডের পাশে বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরিয়ে দিয়েছেন সর্মথকরা। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিদের অধিকাংশের সমর্থন মিজানুর রহমানের দিকে। দলের তৃণমূলের নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এই পদে নতুন মুখ নিয়ে যার-যার মতো বিচ্ছিন্ন আলোচনা চলছে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে রাজনীতি সচেতন মহলে।
সরেজমিনে কথা হয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের সাথে। অধিকাংশের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মিজানুর রহমানের নাম। কথা হয় এক ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি বলেন, ‘মিজানুর রহমান ভাইয়ের লগে কেউরর তুলনা অয় না। সে অইলা সাধারণ মাইনষের নেতা। সে নৌকা পাইলে বউত ভোটে পাস অইব। তাঁর কথার সাথে শুরু মেলান এক ক্রেতা সমর্থক। তিনি বলেন, ‘দল নয়, ব্যক্তি মিজান দল-মতের উর্ধ্বে থেকে ন্যায়-নীতিবান মানুষ।
সবার মুখে মুখে শোভা পাচ্ছে মিজানুর রহমানের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাপক ভূমিকার কথা। তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সাথে ভালো যোগাযোগ ও সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থেকে সেবা করার কারণে সবার এখন তিনিই মধ্যমনি।
ব্রাহ্মণচক গ্রামের কবির হোসেন বলেন, মিজান ভাই নৌকা পাইলে ভালো হবে। আমরা সুখে-দুঃখে তাকে পাই। তার কাছে সমস্যা লইয়া গেলে সমাধান মিলে।
অটোরিকশা চালক হান্নান বলেন, মিজান ভাই মানুষের বিপদে-আপদে যেভাবে পাশে দাঁড়ান- এইটা সাধারণ মানুষ কখনো ভুলবে না। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য মিজান মিয়া যেন চাঁদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা পান। দলের নেতাকর্মীদের দুর্দিনে পাশে থাকা এই নেতা মনোনয়ন পেলে বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। পৌর যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ খান বলেন, তরুণ ভোটারদের কাছে মিজান ভাই কতটুকু জনপ্রিয়, এটা বুঝানো যাবে না। তবে এটা বলতে পারি তিনি নৌকা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি। মানুষ উৎসব করে তাকে ভোট দেবে। যোগ্য নেতা হিসেবে তিনি মনোনয়ন পাবার অধিকার রাখেন।
চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম মিজান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাধারণ জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা, ত্যাগী সংগঠক, কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব, দুর্নামহীন নেতা, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ হিসেবে সর্বসাধারণের প্রাণের দাবি- মিজান ভাইকে যেন চাঁদপুর-২ আসনে নৌকার মাঝি বানায়। মিজান ভাই ছাড়া অন্য কেউ নৌকার টিকেট পেলে পাস করা অসম্ভব হয়ে পরবে।
মিজান ভাইয়ের সততা, ন্যায়বিচার, দল এবং সাধারণ মানুষের সাথে ভালো যোগাযোগের কারণে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। দল ও দলের বাইরে তিনি একজন জনপ্রিয় মানুষ। তরুণ সমাজের কাছে রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। সর্বস্তরের মানুষের চাওয়া- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের এই আশা পূর্ণ করবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. মিজানুর রহমান (এসি মিজান) বলেন, ‘আমি সেই কিশোর বয়সে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করেছি। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলাম। দলের দুর্দিনেও পিছপা হইনি। নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। হামলার শিকার হয়েছি এবং করোনাকালীন সময়েও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকেছি। সততা ও ন্যায়-নীতির প্রশ্নে কখনো আপোষ করিনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নীতি-আদর্শই আমার চলার পথের প্রেরণা। আমার বিশ্বাস দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার দীর্ঘ ত্যাগ-তীতিক্ষা ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমি বিজয়ী হয়ে নেত্রীর মূল্যায়ন ও নেতা-কর্মী তথা সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিদান দিতে সচেষ্ট হব।’
০৮ জুন, ২০২৩।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.