রাজধানীর কদমতলী খালে হারিয়ে যাওয়া ৫ বছরের শিশু আশামনির (তোহা) লাশ মিলল পাঁচদিন পর। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে আশামনির লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস। আশামনির লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশামণির চাচা বিল্লাল হোসেন।
গত শনিবার বল কুড়াতে গিয়ে কদমতলীর মেরাজনগরের ডিএনডি খালে তলিয়ে যায় ৫ বছর বয়সী শিশুটি। এর পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা খালে নেমে তল্লাশি চালালেও গত পাঁচদিন ধরে সফল হননি তারা।
এ কয়দিন কান্নায় বুক ভাসানো বাবা-মা এখন সন্তানের বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন। অন্তত লাশ বুকে জড়িয়ে ধরার আকুতি জানাতে আঁচল পেতেছিলেন আশামনির মা তানিয়া। এবার তার কোলে সন্তান ফিরে এলো তবে লাশ হয়েই।
সন্তানকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আশামনির মা আকুতি জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের আশামণিকে কি শেষ দেখা দেখতে পাব না? আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দ্রুত আমাদের আশামনিকে উদ্ধার চাই।’
বাবা এরশাদ বলেছিলেন, ‘কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকায়া গেছে। আমাদের মেয়ে যে আর বেঁচে নেই তা আমরা জানি। এখন শুধু একটিই চাওয়া– যক্ষের ধনের লাশটা একবার হলেও দেখতে চাই। অন্তত আমার মেয়ের লাশটা খুঁজে দেন আপনারা।’
এদিন সকালে নিখোঁজ আশামনির সন্ধানে ডি.এন.ডি খান সংলগ্ন মেরাজনগর ফারুকের গ্যারেজে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মেরাজনগর বায়তুস সালাহ জামে মসজিদ মরহুম হাজী আব্দুল লতিফ জামে মসজিদসহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও এইচ.ইউসুফ হাই স্কুলের শিক্ষার্থী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন এ মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাতের পরই দুপুরের দিকে আশামনির মরদেহ খুঁজে পায় ডুবুরিরা।
প্রসঙ্গত শনিবার বিকেল পোনে ৪টায় আশামনি তার মেরাজনগর ডি-ব্লক বাসাসংলগ্ন খালি জায়গায় বন্ধু ফরাজ (৬), আব্দুল্যাহ (৫), রাহিম (৫) এর সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল। এ সময় পাশে ডিএনডির খালে বল পড়ে যায়। আশামনি বলটি উঠাতে গিয়ে খালের পানিতে ডুবে যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.