করোনার জন্য দীর্ঘ সময় ধরেই স্টেজ শো বন্ধ। শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা পড়েছেন আর্থিক সংকটে। এরমধ্যে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা এসেছে। ১লা জুলাই থেকে এক সপ্তাহের এই লকডাউন শুরু হচ্ছে। সামনে ঈদ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত শিল্পী-গীতিকার, সংগীত পরিচালক ও প্রযোজকরা। কারণ নতুন গানের মাধ্যমেও সার্ভাইভ করে শিল্পী ও সংগীত সংশ্লিষ্টদের একটা অংশ। কিন্তু লকডাউনের কারণে রেকর্ডিংয়েও আসবে বাধা। এদিকে দেশের অন্যতম শীর্ষ সংগীত তারকা আসিফ আকবর বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
তিনি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, গত ক’দিন ঊর্ধ্বশ্বাসে কাজ করেছি। প্রত্যেকটা দিন প্রচুর বিশ্রাম আর মনসংযোগ সেট করতে হয়েছে। গত ঈদের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আগেভাগেই লকডাউনের ভয় মাথায় রেখে রেকর্ডিং শুরু করেছি। শুটিং স্লট এখনো বাকি। সোমবার থেকে শাটডাউনের আওয়াজ পেয়ে সমস্ত ঈদ প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রায়। আজকের (শনিবার) সিদ্ধান্তে একটু হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। অন্তত ৪টা ওয়ার্কিং ডে হাতে পেয়েছি, যদিও এরমধ্যে ঈদের সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। আসিফ বিষয়টি নিয়ে বলেন, গীতিকার, সুরকার, শিল্পীদের জন্য রেকর্ডিং এখন একমাত্র আয়ের পথ। স্টেজ শো আমাদের মূল জীবিকা হলেও এখন পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। রেকর্ডিংয়ে আবার বেশির ভাগ শিল্পীরাই ব্যস্ত নয়। তবে একটা কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। শাটডাউনে মিউজিকের সব শ্রেণির লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। ঈদ তো দূরের কথা, বাসা ভাড়ার টাকা যোগাড় করা মুশকিল হয়ে যাবে অনেকের। এখানে কেউ কেউ সচ্ছল, সবাই নয়। একটা রেকর্ডিংয়ে সর্বোচ্চ ৩ জন থাকলেই কাজ হয়ে যায়। সামাজিক দূরত্ব আর করোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল আইন মেনেই আমরা কাজ করতে চাই। আমাদের কোনো সরকারি প্রণোদনার দরকার নেই। অন্তত রেকর্ডিং করার সুযোগ পেলে মিউজিশিয়ানদের একটা বড় অংশ সারভাইভ করতে পারবে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করে আমরা কাজ করতে চাই। আমাদের এই সুযোগটা দেয়া হোক।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.