স্টাফ রিপোর্টার : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘বিদেশি ঋণের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা উঠছে। আমরা ঋণ নেব কেন? বঙ্গবন্ধু সেতু, সেটা কিন্তু বিদেশি ঋণে হয়েছে। আমি যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি, এটাও ইউএসআইডির সহায়তায় স্থাপিত হয়েছিল। বিআইসিসি, মেট্রোরেল, ন্যাশনাল হাইওয়ে অনেক হচ্ছে বৈদেশিক ঋণে। বিদেশি সহায়তা আমাদের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের প্রচুর ঋণ নেওয়া দরকার যতক্ষণ উন্নত দেশ না হতে পারব।’
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে ড. শামসুল আলম বলেন, ‘বৈদেশিক ঋণে সুদ কম, দীর্ঘ মেয়াদে পরিশোধ করতে হয়। বৈদেশিক ঋণে সুদ ০ দশমিক ৭৫ থেকে দেড় শতাংশ। এই ঋণ পরিশোধ করার সময়টাও অনেক বড়। অনেক ঋণ আবার ৩১ বছরে পরিশোধ করতে হয়। আর দেশীয় ঋণ যদি ব্যাংক থেকে নেওয়া হয়, তাহলে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেওয়া লাগে। বিদেশে যখন কম সুদ পাব, তাহলে নেওয়া উচিত। ৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাইপলাইনে আছে। তার মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ২০২২ সালে পেয়েছি।’
ঋণের সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি ঋণের অনেক সমালোচনা হয়। শ্রীলঙ্কা কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে উন্নত দেশ ছিল। মাথাপিছু আয় ও শিক্ষার হার ভালো ছিল। বেশকিছু ভুলের জন্য তাদের এই অবস্থা। দক্ষিণ কোরিয়াও ঋণ নিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। তবে, কিছু দেশ প্রচুর বৈদেশিক ঋণ নিয়েও কিছু করতে পারেনি, যেমন: পাকিস্তন। তার অন্যতম কারণ ঋণ ব্যবস্থাপনার অভাব। কতগুলো ভুল করে তারা সমস্যায় পড়েছে। তাই, আমাদের বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে সাবধান হতে হবে।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.