বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা প্রতিবেদক : একাত্তরের পরে কোনো মুসলমান ভারতে যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত দুর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে অভিছযানে কৃষক লীগের একাত্মতা শীর্ষক আলো চনা সভায় প্রধান অতিসথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আলো চনা সভায় কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিেথি ছিলেন, প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেকল প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যপার। সেখানে আমি কথা বলতে চাই না। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছিলে, আমি সেখানে গিয়েছি। আমি প্রথমেই সেখানে বলেছি তোমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না।
তিনি বলেন, আমি তাদের অ্যাড্রেস করে দিয়েছিলাম, তোমরা বারবার বলছো, তোমরা কোনো হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানকে তাড়িয়ে দিবে না। আমি তোমাদের এই মতামতকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কারণ কোনো মুসলমান ৭১-এর পরে, বাংলাদেশ হওয়ার পরে ভারতে যায়নি বা ভারত থেকে আসেনি।
আসাদুজ্জামান বলেন, কিছু দিন আগে ভারতের এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিলো বাংলাদেশ থেকে দেড় কোটি মানুষ না-কি ভারতে চলে আসছে? আমি তাকে বললাম আপনি যদি ১৯৪৭ সালের কথা বলেন, তখন দেড় কোটি ভারত থেকে আসছে, তখন দেড় কোটি গেছে। কাজেই ঐ সময়ে কথা। একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে এদেশের হিন্দু ঐ দেশে চলে গেছে, ঐ দেশের মুসলমান এ দেশে চলে আসছে। এটা সর্ব স্বীকৃত। ৭১-এর পর কোনো মুসলমান ভারতে যায়নি।
রাজাকারের তালিকা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন আসছে। আপনারা জানেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় রাজাকারের তালিকা করেছে। আমাদের কাছে দাবি করে তারা চিঠি পাঠিয়েছিলেন, আমাদের কাছে যে সমস্ত তথ্য আছে সেগুলো যেন পাঠানো হয়। রাজাকারের তালিকা তৈরি করা দূরহ ব্যাপার। প্রাথমিকভাবে দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছিল, সেই দালাল আইনের তালিকা আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।
সেই লিস্টে আমরা মন্তব্য করে দিয়েছি, অনেকের নামের মামলা উড্র করা হয়েছিলো। সেটা তালিকায় যাথাযথভাবে আসেনি। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকা নিয়ে আরো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত হবে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শুদ্ধি অভিযান চলবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন আমরা থেমে গেছি। আমরা আসলে থেকে নেই। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এই অভিযান চলমান রাখবো। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা তথ্যভিত্তিক অভিযান চালাবো। তাই মনে হচ্ছে শুদ্ধি অভিযান থেমে গেছে, শুদ্ধি অভিযান চলমান থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.