এপ্রিল থেকেই ঢাকায় রুটভিত্তিক বাস চলাচল করবে। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৫তম সভা শেষে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।তিনি জানান, প্রথম রুট ঠিক করা হয়েছে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত।এখন রাজধানীতে ২৯১টি রুটে বাস চলাচল করে। সেটি ৪২টি রুটে ২২ রঙের বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর মোট বাসের সংখ্যা হবে ৯ হাজারের বেশি। তবে বাস সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ঢাকার মেয়র।যানজট ঢাকার নিয়মিত ব্যাপার। সড়কে বিশৃঙ্খলা বেড়েছে বৈ কমেনি। এসব নিয়ন্ত্রণে ২০১৫ সালে রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগ নেন ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। সেটা বাস্তবায়নে বৈঠকের পর বৈঠক করে যাচ্ছে রুট রেশনালাইজেশন কমিটি।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ঘাটারচর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত একই রঙের বাস চালানোর কথা থাকলেও এখন কাঁচপুর পর্যন্ত রুট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এছাড়া, আন্তঃজেলা বাসগুলোর জন্য বিরুলিয়া, উত্তর কাঁচপুর, হেমায়েতপুর ও কেরাণীগঞ্জে ৪টি বাস টার্মিনাল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।মেয়র তাপস বলেন, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১০টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছিল। এগুলো সরেজমিনে আমরা পরিদর্শন করেছি। সরেজমিনে পরিদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্ধারণ করেছি। উত্তরের জেলার বাসগুলোর জন্য বিরুলিয়ায় একটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয়ত হেমায়েতপুরে আরেকটি জায়গা নির্ধারণ করেছি বাস টার্মিনালের জন্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটির জন্য কেরানীগঞ্জের বাঘাইর ও কাঁচপুরের উত্তরে আরো দু’টি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, এ চারটি জায়গায় আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে ঢাকা শহর থেকে বাসের চাপ কমে যাবে। সায়েদাবাদ ও গাবতলী টার্মিনালকে আমরা সিটি টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো। বাকি চারটি টার্মিনাল ঢাকামুখী যানবাহনগুলোর জন্য ব্যবহার করতে পারবো। প্রাথমিকভাবে আমাদের এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছি। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত মন্ত্রী বরাবর সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। আশা করি অনতিবিলম্বে তারা কাজ শুরু করলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ঢাকা টু মতিঝিল রুট আরেকটু বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যার কিছু স্থানে বাস-বে হবে ও কিছু জায়গায় বাস স্টপেজ করা হবে। যেহেতু এখন রুট কাঁচপুর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে তাই আরো কিছু স্থান বাড়বে।তিনি বলেন, প্রতিমাসে আমরা সব প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করছি। দুই মেয়রের যে নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল যানজট নিরসনের, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। অদূর ভবিষ্যতে সুন্দর যানজটমুক্ত ঢাকা শহর গড়ার লক্ষ্যে দুই মেয়র একসঙ্গে কাজ করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.