বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)’র কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্য অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছি। দ্রুত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দরকার কাজের গুনগত মান ঠিক রাখা। যে প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে গুনগত মান ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন। তাহলে প্রকল্পগুলো থেকে জনগন কাঙ্খিত ফলাফল পাবে।
মন্ত্রী বলেন, এলজিইডির প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সন্তোষজনক। গত ছয় মাসে এলজিইডির প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে বেশী। আমি চাই কাজের মান আরো উন্নত হোক। আর যে প্রকল্পগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করুন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলোর কাজ শেষ করুন। এতে অর্থ বাঁচবে, জনগনও উপকৃত হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অডিটরিয়ামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শহরের সুবিধা গ্রামে যাবে। তাই বলে, গাছ কেটে বা খাল ভরাট করে নয়। রাস্তাঘাট ও ব্রীজের জন্য সুন্দর পরিকল্পনা ও ডিজাইন করবেন। যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। আর নির্বাহী প্রকৌশলীরা হচ্ছে এলজিইডির প্রাণ। আপনারা মনযোগ দিয়ে কাজ করেন। এলজিইডিকে উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে এক নম্বরে নিয়ে আসুন।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য বলেন, প্রকল্পগুলোর কাজের মান ঠিক রাখার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর কিছু দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীদেরকে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা কাজের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা সরেজমিনে যাচাই করে দেখে ঠিকাদারের বিল অনুমোদন দিতে পারে। আর যদি কাজের মান খারাপ হয় তাহলে তারা ব্যবস্থা নিবে।
পর্যালোচনা সভায় জানানো হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিভুক্ত ১২৮টি প্রকল্প রয়েছে। এরমধ্যে বরাদ্দ প্রাপ্ত প্রকল্প রয়েছে ১২২টি। যারমধ্যে বিনিয়োগ ১২০টি, ২টি কারিগরি প্রকল্প। আর বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে ৬টি। যারমধ্যে ৫টি বিনিয়োগ, ১টি কারিগরি প্রকল্প। জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এ প্রকল্পগুলোর মোট ভৌত অগ্রগতি ৫৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য্য এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের (উন্নয়ন অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক ও মেজবাহ উদ্দিন (উন্নয়ন অধিশাখা)। এছাড়া এলজিইডির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.