পরিক্রমা ডেস্ক : প্রথমবারের মতো লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলার সুযোগ পেয়ে তাওহীদ হৃদয় শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত এক ফিফটিতে। বাংলাদেশি ব্যাটারের ৫৪ রানের ইনিংসের ম্যাচে সেদিন ২১ রানের জয় পেয়েছিল জাফনা কিংস। শুরুর মতো শেষটাও রাঙিয়েছেন জয় দিয়ে।
গতকাল এলপিএলের শেষ ম্যাচেও জয় পেয়েছেন হৃদয়। এবার রানে নয়, উইকেটে। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ের ম্যাচে বিপরীত চিত্র ছিল তাঁর ব্যাটিংয়েও। আউট নয়, ১৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৯ বলের সাজানো ইনিংসে ছিল ৩ চার। যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন, ততক্ষণে ১৪৭ রানের লক্ষ্যের জয়টা প্রায় নিশ্চিত ছিল। বাকি কাজটা করার সময় শেষটা করেছেন নাসিম শাহকে দুর্দান্ত ১টি চার মেরে।
কলম্বোর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এবারের এলপিএলে হৃদয়ের শেষ ম্যাচ। ৮ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে ছাড়পত্র দেয় বিসিবি। দেশে ফিরে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটার। রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ৬ ইনিংসে ১ ফিফটিতে ১৫৫ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৩৫.৯৬।
গতকাল ১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় জাফনা। নিশান মাদুশকাকে নিয়ে ওপেনিংয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আউট হওয়ার সময় ৩৯ রানের ইনিংসটিতে সমান ৩ চার ও ছক্কা হাঁকান আফগান ব্যাটার গুরবাজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটেও ত্রিশোর্ধ্ব দুটি জুটি হলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় জাফনা। ১২৮ রানে ৪ উইকেট হারানো জাফনার বাকি কাজটুকু করেন ডেভিড মিলার ও হৃদয়। ১ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার মাদুশকা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় কলম্বোও। পাথুম নিশাঙ্কা ও বাবর আজম মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান তোলেন। সেখান থেকে ৬৯ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে বসলে রানের গতি কমে যায় কলম্বোর। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করতে পারে মোহাম্মদ নওয়াজ ও চামিকা করুণারত্নের ২৭ ও ২১ রানের ইনিংসের সৌজন্যে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন নিশাঙ্কা। আর সর্বশেষ ম্যাচে গল টাইটানসের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানি ব্যাটার বাবর করেন ২৪ রান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.