একই সাথে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে বাঁচতে সঠিকভাবে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ার কথাও জানান তিনি। মন্ত্রী আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২০ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই অযথা পানি ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পানি ব্যবহারে সতর্ক না হলে শুধু দেশেই নয় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ পানি সংকটে পড়বে। পানি সম্পদকে সমৃদ্ধ ও পানি প্রাপ্তি অব্যাহত রাখার জন্য বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের জীবনে হাত ধোয়া ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি তথা হাইজিন মেনে চলা কতটুকু জরুরী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া covid-19 পরিস্থিতি তা শিখিয়ে দিয়েছে। রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে হাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয় সারা বিশ্বের অনেক মানুষ হাত ধোয়ার বিষয়ে অসচেতন। মানুষকে সচেতন করতেই এই দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। তিনি জানান, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী নির্দেশনার ফলে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনার শুরু থেকেই সারাদেশে প্রতিটি মানুষের কাছে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হয়েছে। এ জন্য তিনি নিজে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান। এছাড়া ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি'র সহযোগিতায় পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান সারা দেশে সুপেয় পানি সরবরাহের পাশাপাশি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, দেশের মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জনসচেতনতা তৈরি করা। আর জনসচেতনতা তৈরীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া। মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এমডিজি সফলভাবে শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ সফলভাবে অতিক্রম করে ২০৪১ সালের আগেই দেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.