পেঁয়াজ ও রসুনের এখন ভর মৌসুম। এ কারণে পণ্য সংকটের কোনো সুযোগ নেই। তবুও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটির দর ঊর্ধ্বমুখী।
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা হয়েছে। রসুনের দরও কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। একই সময়ে আদার দরও দ্বিগুণ বেড়ে ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে।
মসলা জাতীয় এ তিন পণ্যের আড়তদার, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে এগুলোর সরবরাহে সংকট নেই।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক সময়ের মতো সরবরাহ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ীই রাজধানীতে আসছে পেঁয়াজ। এর পরও হঠাৎ করে দর বেড়ে যাওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতাই দায়ী বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
করোনার কারণে সাধারণ ছুটিতে সবাই ঘরবন্দি হয়ে পড়লে এবং ভর মৌসুম শুরু হলে রাজধানীর বাজারে গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দর কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় নেমে আসে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
অন্যদিকে দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছিল। এখন তা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে। আদার দাম দ্বিগুণ বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পাইকারি বাজারে এগুলোর দর বাড়ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে বাজারে বাড়তি চাহিদার সুযোগে গত মাসের মাঝামাঝিতে কারসাজি করে এক দফা দর বাড়ানোর চেষ্টা চালান কিছু ব্যবসায়ী।
তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় তা স্থায়ী হয়নি। এখন আড়ত ও পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহের মধ্যে দফায় দফায় দর বাড়িয়েছেন তারা।
মিরপুরের উত্তর পীরেরবাগ বাজারের খুচরা বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন জানান, এক সপ্তাহ ধরে পাইকারিতে বেশি দর দিতে হচ্ছে তাদের। এখন প্রতি কেজি কিনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। এর সঙ্গে গাড়িভাড়া দিয়ে ৬০ টাকার কমে বিক্রি সম্ভব নয়।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, অবশ্য আমদানি করা পেঁয়াজ, রসুন ও আদার সরবরাহ কম। দেশি পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে, যা চাহিদার তুলনায় কম।
তারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন জেলায় ঠিকমতো হাটবাজার বসছে না। ফলে পেঁয়াজ ও রসুনের সরবরাহ কমেছে। এছাড়া পরিবহন ভাড়াও আগের চেয়ে বেশি। এ কারণে দাম বাড়ছে।
মিরপুর-১ নং বাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, রমজান ঘনিয়ে আসায় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। সে অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় দর বাড়ছে।
তিন পণ্যের পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দর কেজিতে আরও দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে দর কমেছে সবজি, ডিম ও মুরগির।
এ এছাড়া অন্য নিত্যপণ্যের দর আগের মতোই কিছুটা বেশি। এতে কম আয়ের মানুষের চাপ বাড়ছে। তারা কম দরে পণ্য কিনতে টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইন দিচ্ছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.