ডেস্ক : ভারতের কর্নাটক রাজ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি মন্দিরে উপাসনার সময়ে দেওয়া খাবার বা প্রসাদ খেয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। চমরাজনগর জেলার কিচু মারাম্মা নামের এই মন্দিরের খাবার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮২ জন।
সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত কোনও কিছু মিশিয়ে দেওয়ার কারণেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। ওই খাবারের নমুনা বিশ্লেষণের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বিষক্রিয়ায় আক্রান্তদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সুলিবাদি গ্রামের মন্দিরের অভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত প্রার্থনার পর এই খাবার দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিষেক উপলক্ষে আশেপাশের গ্রাম থেকেও অনেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা টমেটো ও ভাত খেতে দিয়েছিলাম। তবে এ থেকে গন্ধ আসছিল। যারা এটা ফেলে দিয়েছে তারা ভালো আছে তবে যারাই খেয়েছে তারাই বমি করা শুরু করে পেট ব্যাথা করার কথা বলতে থাকে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রসাদ থেকে কেরোসিনের গন্ধ আসলেও ভক্তরা প্রসাদ হিসেবে দেওয়া ভাত খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের পেট ব্যাথ্যা ও বমি শুরু হয়।
খাবার খেয়ে অসুস্থদের চমরাজনগর ও মাইসুরু জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের অনেককেই অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চিকিৎসকদের আশঙ্কা কীটনাশকের কারণে এই বিষক্রিয়া হতে পারে। খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত বস্তু কিভাবে মেশানো হলো তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরুর কথা জানান তিনি।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারাস্বামী অসুস্থদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতদের পরিবার প্রতি ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.