কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৭ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি। মাশরাফির তোপে অলআউট হয়ে গেছে ৬৩ রানে। সেই রান তুলতে মাত্র ১২ ওভার নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। তাই আবার শুরুতে গেইলের ১ রান করে আউট হন। ক্রিজে থাকা রংপুরের দুই ব্যাটসম্যান মেহেদি মারুফ এবং রাইলি রুশো কোন ঝুঁকি নেননি। টি-২০ ম্যাচ ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ৯ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। দুই ব্যাটসম্যানের যেমন গা গরম হয়নি। চার-ছয়ের উল্লাসে মাততে না পারায় গা গরম হয়নি দর্শকদেরও।
বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তজা টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দেড় বছরের বেশি হলো। ছোট সংস্করণের এই ক্রিকেটে সর্বশেষ তিনি খেলেছেন গেল আসরের বিপিএলে। টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে ২০১৭ সালের এপ্রিলে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে। কিন্তু টি-২০ ক্রিকেটে বল করতে ভুলে যাননি তিনি। ৪ ওভারে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মাশরাফি একে একে তুলে নিয়েছেন কুমিল্লার টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান তামিম, ইমরুল, এভিন লুইস এবং স্মিথকে। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন আগের ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতানো শহীন আফ্রিদি। তিনি ২৫ রান করেন। আর কেউ ১০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি। রংপুরের হয়ে নাজমুল ইসলাম ৩টি এবং শাফিউল ইসলাম নেন দুই উইকেট।
এরপর জবাবে ১২ ওভারের মধ্যে রান তুলে দেয় রংপুর। গেলবারের চ্যাম্পিয়নরা এ নিয়ে তিন ম্যাচে পেলো দুই জয়। তারা আসর শুরু করেছিল হার দিয়ে। পরের দুই ম্যাচে দাপুটে জয় পেল মাশরাফির দল। দলের হয়ে রুশো ২৮ বলে ২০ রান করেন। ওয়ানডে ফরম্যাটের মতো ব্যাটিং করেন মেহেদি মারুফও। তিনি ৩৯ বলে করেন ৩৬ রান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.