বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতকারীরা ধর্ষণের সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে। পুনরায় ডাকলে সাড়া না দিলে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় ওই যুবতীকে।
কুলাউড়া হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গণধর্ষণের শিকার যুবতীর দেয়া জবানবন্দি থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ধর্ষিতাকে গতকাল দুপুরে পুলিশি সহায়তায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের গৌরী শংকর গ্রামের আবদুল্লাহর ছেলে শুকুর আলী মোবাইল ফোনে যুবতীকে কুলাউড়া পৌরসভার সামনে আসতে বলে। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি পৌরসভার সামনে এলে তাকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তোলে শুকুর আলী।
এ সময় সিএনজি অটোরিকশাতে থাকা অপর লোকজন তাকে মুখে রুমাল দিয়ে বেঁধে নির্জন পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ৭ জন মিলে গণধর্ষণ করে। রাত আনুমানিক ১১টায় মেয়েটিকে কুলাউড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ফেলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েটি নিজ বাসায় ফিরে গেলে পরিবারের লোকজন রাত ১২টায় কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন সকালে কুলাউড়া হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নির্যাতিতা মেয়েটি ধর্ষণের বর্ণনা দেয়।
মেয়েটি তার বক্তব্যে জানায়, ধর্ষণকালে দুষ্কৃতকারীরা মোবাইল ফোনে দৃশ্য ধারণ করে রাখে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার হুমকি দেয়। এরপর থেকে দুষ্কৃতকারীদের ডাকে সাড়া না দিলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। নির্যাতিতা শুকুর আলীকে চিনতে পেরেছে।
ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার আমান উল্যাহ জানান, ঘটনা জানার পর আমি বিষয়টি কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করি এবং নির্যাতিতার বক্তব্য গ্রহণ করি। মেয়েটি দরিদ্র পরিবারের। যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি মেয়েটিকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহজনক একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.