ক্যাম্পাস প্রতিবেদক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি খাতে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ করে গত ১৯৯২ সালে। এই আইনের আওতায় দেশে এখন ১২০ টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ পরিমন্ডলে উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাস্তবতা হলো সর্বমোট ১২-১৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ আইনকানুন মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিধায় ওগুলো দেশিয় সীমানা অতিক্রম করে বিদেশেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক প্রয়াত ড. কাজী দীন মোহাম্মদ। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি সাধন করতে থাকে।
তৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির ধানমন্ডি ক্যাম্পাসটি "মিনি আইবিএ" হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল।কিন্তু হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়টি শনির দশায় নিপতিত হলো। এটার পরিচালনায় জবরদখল করে আসীন হলো স্বঘোষিত প্রফেসর ড. আবোল হাসান ছাদেক। জনশ্রুতি রয়েছে যে তার কোন পিএইচডি ডিগ্রি নাই, অনার্সে তৃতীয় শ্রেণি, কখনো অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পায় নাই। ইউজিসি কর্তৃক এসব এসব অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু সে থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন অন্ত নাই। জাল সনদ বিক্রি, অর্থ পাচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারী, অবৈধ সন্তানের পিতৃত্ব অর্জন ইত্যাদি। ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সহ সরকারের বিবিধ প্রতিষ্ঠান এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু সে থেকে যাচ্ছে সব কিছুর উর্ধ্বে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কি বিচিত্র এই দেশ!!!
সে ও তার পরিবার ছিল যুদ্ধাপরাধী। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করেও চুপচাপ। দুদক, এনবিআর তার আর্থিক কেলেংকারির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে, কিন্তু সে নির্বিঘ্নে চেহারা দেখিয়ে ঘুরাঘুরি করছে।
সর্বশেষ গত ১ জুন ২০২৩ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসি'র সুপারিশ ক্রমে একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে তাকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সার্বিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করে এবং তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু অতিব আশ্চর্যের বিষয়ে, গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভাগের এক যৌথ সভায় আয়োজন করা হয়। সেখানে আবোল হোছেন ছাদেক-কে প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ইউজিসি'র বিদ্যমান আইনের যা সম্পুর্ন পরিপন্থী। মিটিং-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বৈধ উপাচার্যকে সম্পূর্ণরুপে অগ্রাহ্য করা হয়।
এভাবেই চলছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি আর এভাবেই চালাচ্ছে আবোল হাছান ছাদেক তার অবৈধ কার্যক্রম। কিন্তু কে শোনে কার কথা!! কে দেখবে এসব অনিয়ম!!!
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.