বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : পাতানো ম্যাচ বা ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে অধিকাংশ দেশের ক্রিকেটে মাঝে মধ্যে ঝড় বয়ে গেলেও নিজেদে ক্রিকেটারদের একটি বাতাসও বইতে দেয় না ভারত। ক্রিকেট অঙ্গণের মোড়ল হওয়ার সুযোগে আইসিসিসহ নানা ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করে রেখে ভারত। হয়তো এই কারণে তাদের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিক্সিং প্রকাশ পায় না বা পেতে দেয়া না।
কিন্তু এবার স্বয়ং ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা-আইসিসিই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে। সংস্থাটি দাবি করেছে বিশ্বের অধিকাংশ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে ভারতের নাম জুড়ে আসে।
আইসিসি এমন সময় এই মন্তব্য করল যখন কদিন আগে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী দাবি করেছে- ২০১১ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ভারতের কাছে বিশ্বকাপ বিক্রি করেছে। ফলে পাতানা ম্যাচ খেলেছে।
২০১৩ সালে আইপিএলের ম্যাচে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনি বোর্ডটি তাদের সেই কেলেঙ্কারি মাটি চাপা দিয়েছে। কিন্তু ভারত ক্রমে ক্রিকেট জুয়ার আঁতুড়ঘরে পরিণত হচ্ছে সেটা আবারও সামনে আসল।
দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের (আকসু) চলমান ৫০টি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এর অধিকাংশই ভারত সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছেন আকসু’র তদন্ত সমন্বয়ক স্টিভ রিচার্ডসন।
তদন্তে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জুয়াড়িদের লক্ষ্য এখন রাজ্যভিত্তিক লিগ ও নিচের সারির সরাসরি সম্প্রচারিত লিগগুলো।
স্পোর্টস ল অ্যান্ড পলিসি বিষয়ক এক অনলাইন সেমিনারে শনিবার স্টিভ রিচার্ডসন বলেন, ‘আমরা ৫০টি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা তদন্ত করছি। এর বেশির ভাগই ভারত সংশ্লিষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা হলো এই চেইনের শেষ গন্তব্য। মূল সমস্যা হলো যারা এই অপরাধের আয়োজক, খেলোয়াড়দের টাকা দিচ্ছে। যারা খেলার বাইরে। আমি এই মুহূর্তে এমন আটজনের নাম ভারতের পরিচালনা সংস্থার কাছে দিতে পারি যারা নিয়মিত খেলোয়াড়দের এভাবে বিপথে টেনে নিচ্ছে।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভারতীয় থমকে আছে ভারতের রাজ্যভিত্তিক লিগগুলো। অনেকগুলোর সময়ও পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগ (কেপিএল) বাতিল করা হয়েছে। এ লিগে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও একটি দলের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আকসু প্রধান অজিত সিং বলেন, ‘কেপিএল’র ঘটনা নিয়ে পুলিশ আংশিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়েছে। প্রমাণাদিগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি।’
মাঠের বাইরের জুয়াড়িদের নিয়ে অজিত সিং আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাইরের অংশগ্রহণকারীরে ধরা নিয়ে আমাদের খুব বেশি কিছু করার নেই।’
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.