চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার এবং সেবা রপ্তানি খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭৫০ কোটি ডলার। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি রপ্তানির এ লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান।
সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয় এর আগের অর্থবছরের তুলনায় বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। গত বছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার এবং সেবা খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি খাতে ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার এবং সেবা খাতে ৬৬৩ কোটি ডলার আয় হয়েছে। এটি মোট লক্ষ্যমাত্রার ৯৪ দশমিক ৫৬ ভাগ।
রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে দেশের এবং আন্তর্জাতিক সকল বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। রপ্তানির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। তবে একই সঙ্গে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রপ্তানি খাত সচল রয়েছে এবং রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে রপ্তানি খাতকে প্রণোদনা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ এসেছে। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য রপ্তানি কারক এবং রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আমরা সম্মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোন কঠিন কাজ হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার বেশকিছু সেক্টরকে পণ্য রপ্তানিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতগুলোকে শক্তিশালি করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আশা করা যায়, এ খাতগুলোর রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্র্শিয়াল কাউন্সেলররা কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা : রেজা
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.