পরিক্রমা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ১৭ এপ্রিল, বুধবার দুপুরে চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, মেকানিক্যাল এন্ড ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।
[caption id="attachment_51353" align="aligncenter" width="2560"] আলোচনা সভায় মঞ্চে উপবিষ্ট মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।[/caption]
ভারপ্রাপ্ত ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি. এম. সাদিকুল ইসলাম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের উপর প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সেকশন অফিসার জনাব মীর মো: রাতুল হাসান। কোরআন তেলাওয়াত করেন জনাব মোহাম্মদ ছাবের।
চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের অনন্য এক দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। একাত্তরের এই দিনে বাঙালি জাতি নতুন করে আবার জেগে ওঠে। বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর বৈদ্যনাথ তলায় রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাস। একাত্তরের অগ্নিঝরা এই দিনেই বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিমূল রচিত হয়। মুজিবনগর সরকার সংশ্লিষ্টরা সরকারের স্বীকৃতি, জনমত গড়ে তোলা প্রভৃতি বিষয়ে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। আমি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ, শহিদ মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং শহিদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে। আসুন সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সকলে মিলে সুন্দর সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলি।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.