আশিক সরকার ঃ সাংগঠনিক কার্যক্রম কে গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ সম্প্রতি ৬টি থানা ও কলেজ ইউনিটের কমিটি গঠন করে।জানা যায় ১ম ধাপে রামপুরা ও মুগদা থানা কমিটি গঠন করে এবং গত ১০ তারিখ রাত্র ০৩ টায় যাত্রাবাড়ী,ডেমরা,ওয়ারী ও খিলগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় মডেল কলেজের নতুন কমিটি গঠিত হয়।পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানা কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,ছাত্রলীগের অত্র ইউনিটের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায় যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগ এর নবগঠিত কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান ছিলেন ডেমরা থানার পদপ্রার্থী এবং ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তাছাড়া আতিকুর রহমান এর বয়স ৩০ বছর ১১ মাস।যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন ত্যাগী ও যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বয়স উত্তীর্ণ এবং অন্য থানার পদপ্রার্থী কে কেন যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত করা হল এ নিয়ে চলে ব্যাপক সমালোচনা,তাছাড়া রামপুরার সভাপতি কে নিয়ে গঠনতন্ত্র বিরোধী অভিযোগ,সাধারণ সম্পাদক কে নিয়ে অনুপ্রবেশকারী অভিযোগ,মুগদা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অন্য অঙ্গসংগঠনের ও অছাত্র। এই বিষয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দৃষ্টিগোচর হলে গত ১৩ ই নভেম্বর রাত্রে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগ ও তথ্যাদির বরাতে আনীত সকল বিষয় সমূহ তদন্তের লক্ষ্যে ০৭ কার্যদিবস এর লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ০৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। যেখানে রামপুরা,মুগদা ও যাত্রাবাড়ী থানা কমিটির প্রক্রিয়ার ত্রুটি বিচ্যুতি তদন্ত প্রতিবেদন হবে। এদিকে যাত্রাবাড়ী থানা ও রামপুরা থানার সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীরা বিতর্কিত দের রেখে মহানগর ছাত্রলীগ কমিটি গঠন করায় তারা মাঠে নেমে মানব বন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গ্রহন করিলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদক্ষেপে শান্ত হয়।কিন্তু ১০/১১ দিন পার হয়ে গেলেও তদন্ত প্রমানিত হবার সাপেক্ষে বিতর্কিত দের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি আশার মুখ দেখছেনা। বিতর্কিতরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কে ম্যানেজ করে ফেলেছে এই প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা প্রতিনিধি উল্লেখিত ০৩ থানার নবগঠিত কমিটির বিভিন্ন পদে আসা সংগঠক দের সাথে কথা বলে জানতে পারে তাদের প্রত্যেকের ই একই মতামত যে, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত কে নিঃসন্দেহে শ্রদ্ধা করি,অবশ্যই যারা কমিটির বিভিন্ন পদে এসেছে তারা রাজপথে পরিশ্রমের মূল্যায়ন পেয়েছে কিন্তু ২/১ জন বিতর্কিত দের জন্য কমিটির সকলে শাস্তি পেতে পারেনা এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে থাকতে পারেনা।তাই তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি শতভাগ আস্থা এবং ভরসার স্থল আখ্যায়িত করে বলে যে আশা করছি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যথাযথ তদন্ত করে সংগঠন এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অতিশীঘ্রই নিয়ম উপযোগী মূল্যায়ন বান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.