বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের সদস্য রকিবুল হাসানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুরে।
বিশ্বকাপ বিজয় উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণসহ বিভিন্নস্থানে আনন্দ মিছিল করেন গ্রামবাসী। তাকে নিয়ে এখন গ্রামের সর্বত্রই আলোচনার ঝড় বইছে।
ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে রূপসী ইউনিয়নের বাশাটি গ্রামের ছেলে রকিবুল হাসান। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টিনের ছোট্ট পুরানো বাড়ি রকিবুল ইসলামের। আজও বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি তার ছোট টিনের ঘরে।
রকিবুল হাসান জন্মের পর থেকেই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করেননি। বাবা শহীদুল ইসলাম পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন। বাবা পেশায় একজন গাড়ি চালক। তবে বছরে বেশ কয়েকবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন রকিবুল হাসান। পার্শ্ববর্তী রূপসী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেটও খেলেছেন। গ্রামের বাড়িতে কেউ না থাকায় রকিবুলের ফুফা কামাল হোসেন তার পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করেন।
ক্রিকেটার রকিবুলের ফুফু রোখসানা খাতুন বলেন, রকিবুল বেশি পড়তে চাইত না। সুযোগ পেলেই ক্রিকেট খেলতো। আমরা বিরক্ত থাকলেও আজ সে দেশের মুখ উজ্জল করেছে। এখন আমরা খুবই আনন্দিত।
গ্রামবাসীরা জানায়, রকিবুল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছেন, এ খবর টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই জানেন। বিশেষ করে গ্রামের কিশোরেরা এসব খবর বেশি রাখেন। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই গ্রামের মানুষ রূপসী বাজারে গিয়ে রাকিবুলের খেলা দেখেছেন।
গ্রামের আবদুল হামিদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ক্রেকেট খেলা এত বুঝি না। তবে গ্রামে সাংবাদিক আসায় এতটুকু বুঝেছি যে, আমাদের গ্রামের ছেলে বড় কিছুই করেছে।
গ্রামের কিশোররা জানান, রাতে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ হলেও খেলা দেখার জন্য পরিবারের অনুমতি নিয়ে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রূপসী বাজারে বসেই খেলা দেখেছেন তারা। টানা উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বজয়ের শেষ রানটা আসে রকিবুলের ব্যাট থেকে। রাতেই গ্রামের মানুষ রকিবুলের দলের জয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন।
মুঠোফোনে বাবা শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষের বাঁধ ভাঙা আনন্দের খবর শুনে ছেলের দেশে আসলেই তাকে নিয়ে গ্রামে আসবো। গ্রামের মানুষদের সঙ্গে এ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.