মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেয়া ও অংশগ্রহণ করা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের
শ্রদ্ধায়-স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। ১৬ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার মিরপুর ট্রেনিং
কমপ্লেক্সে অবস্থিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্প অর্পণ এবং সারা দেশের সকল ফায়ার
স্টেশন ও অফিসসমূহে জাতীয় ও বিভাগীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় বিজয়
দিবস উদযাপনের কর্মসূচি। সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদর
দপ্তরে আলোচনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের
সমাপ্তি হয়।
৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরসহ সারা
দেশের সকল বিভাগীয় অফিস, জেলা অফিস এবং ফায়ার স্টেশনসমূহে আলোকসজ্জা
করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইট ও ফেজবুক পেজসমূহে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা
অনুষ্ঠান ও জাতির পিতার ৭ই মার্চের বক্তব্য আপলোড করা হয়। দুপুরে জোহর নামাজ
শেষে সকল মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান এবং সারা দেশে ফায়ার সার্ভিসের সকল সদস্যের
জন্য বড়খানার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর
দপ্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে পলাশী ফায়ার স্টেশনের বিয়োগান্তক ঘটনা নিয়ে রচিত
মঞ্চনাটক ‘রক্তাক্ত পলাশী’ প্রদর্শন এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও মনোজ্ঞ
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,
নারীকল্যাণ সমিতির সভাপতি, পরিচালকগণসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী
অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ
হাবিবুর রহমান। মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি,
পিএসসি, এমফিল। বক্তব্যের শুরুতে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর
মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ
থেকে তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বিজয় দিবসের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে একটি নতুন বিষয়
সংযুক্ত হয়েছে। মহাপরিচালক মহোদয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সকল
কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য বছরে ৫ দিন ৫টি বড় খানার আয়োজনের সিদ্ধান্ত
দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রথম দিন ছিল মহান বিজয় দিবস। এ দিন
ফায়ার সার্ভিসের সারা দেশের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য একই মেনুতে
বড়খানার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজয় দিবস ছাড়া বাকি ৪টি বড়খানা আয়োজনের দিন
হলো বছরের দুটি ঈদ, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং ৯ এপ্রিল ফায়ার
সার্ভিসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন। এর আগেও বিশেষ দিনে বড়খানার আয়োজন হতো,
কিন্তু তা হতো বিচ্ছিন্নভাবে, একেক জেলায় একেক রকম। মহাপরিচালক মহোদয়ের
নির্দেশনা অনুসরণে এখন থেকে একই মেনুতে সকল জায়গায় একই রকমের খাবারের
আয়োজন করা হবে।
পরে শুদ্ধ সঙ্গীতের ধারক শিল্পী চম্পা বণিক, বাংলাদেশ আইডলের রানার্সআপ মন্টি
সিনহা এবং ভারতের সারেগামাপা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া অবন্তী
সিনহার মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। খবর
বিজ্ঞপ্তির।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.