নিভে গেছে জাতির এক বাতিঘর। অদেখা ভুবনে চলে গেলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ছেলে আনন্দ জামান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আব্বা বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে মারা গেছেন।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান; অনাবিল সমাজ হিতৈষী, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল চেতনা, সুশীল বুদ্ধিবৃত্তিকর চর্চা ও ব্যক্তিগত মণীষা দিয়ে নিজেকে পরিণত করেছিলেন দেশের অগ্রগণ্য পুরুষে। তার মৃত্যুর সঙ্গে যবনিকা ঘটল এক কিংবদন্তির জীবনের। তিনি স্ত্রী সিদ্দিকা জামান, দুই মেয়ে রুচিবা ও শুচিতা এবং একমাত্র ছেলে আনন্দসহ অংসখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাদেশের কীর্তিমান এ মানুষটির মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশে। তার মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদসহ অনেকে।
জাতীয অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।সেখানে চিফ কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক খন্দকার কামরুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে প্রত্যাশিত উন্নতির লক্ষণ দেখতে না পাওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে গত ২ মে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করেন।
কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ৯ মে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.