প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিনে শনিবার (৩০ এপ্রিল) কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে আবার বিলম্বে ট্রেন ছাড়ার ঘটনাও। প্রথম দুইদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক হলেও শুক্রবার থেকে তা বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ভোর থেকেই স্টেশনে ভিড় করছেন যাত্রীরা। অধিক লোকসমাগমের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের। যারা টিকিট কাটতে পারেননি তারা নিচ্ছেন স্ট্যান্ডিং টিকিট। ভোরের ট্রেন ধরতে অনেকেই আবার সেহরির পর পরই স্টেশনে চলে এসেছেন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বিনা টিকিটে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঈদযাত্রার প্রথম দুইদিন বুধ ও বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ভিড় থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই বেড়েছে যাত্রীর চাপ। কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তিল ধারনের জায়গা ছিল না শুক্রবার, আজও একই অবস্থা।
ঠাকুরগাঁওমুখী ফাতিমা নামের এক যাত্রী জানান, অনেক কষ্ট করে তিনি ট্রেনের টিকিট পেয়েছেন। বাড়ি যাবেন বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করতে। সকাল ১১টার দিকে ট্রেন হলেও যানজটের কথা চিন্তা করে ভোরেই এসেছেন স্টেশনে। কিন্তু তারপরও নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ছে না।
সিলেটমুখী স্মৃতি আক্তার জানান, তিনি শশুর বাড়িতে ঈদ করবেন। তাই পরিবারকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। খুব গরম হলেও যানজট ও ভিড়ের কথা চিন্তা করে সকাল সকাল স্টেশনে চলে এসেছেন। টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল দুই দিন।
এদিকে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে ধূমকেতু ও নীলসাগর প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় দেরিতে ছাড়লেও বাকি ট্রেনগুলো ছেড়েছে সঠিক সময়ে। ধূমকেতু সকাল ৬টায় ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও সেটি স্টেশন ছাড়ে ৬টা ৪০ মিনিটে। আর ৬টা ৪০ মিনিটে নীলসাগর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি স্টেশন ছেড়েছে ৭টা ২৫ মিনিটে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.