খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নতুন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের সময় ভবনের একাংশ ধসে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকেলে ছাদ ঢালাইয়ের সময় হঠাৎ করে নির্মাণাধীন ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে। এতে ভবনের নিচে আটকা পড়েন শ্রমিকরা। পরে উদ্ধারকৃত সাত শ্রমিককে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা।

নিহত এক ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ (১৭)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা হলেন - মো. রোকন (৩৮), মো. হাসান (২৪), মো. হানিফ (২৫), মো. হানিফ (২৭) ও মো. সোহেল (২৩)।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছাদটি নির্মাণের যে সেন্টারিং তৈরি করা হয়েছে, সেটি দুর্বল ছিল।

খাগড়াছড়ি সেনা সদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর রিয়াদুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস মিলে নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ চলছে। আমরা প্রাথমিকভাবে দেখছি ছাদের সেন্টারিংয়ের ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার কাজ চালিয়ে যেতে।

বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন পাঁচ শ্রমিক। ওই ভবনের নিচে আরো দুই শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। কীভাবে এ ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম প্রমুখ।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের দিকে পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ শুরু হয়। যখন ‍দুর্ঘটনা ঘটে তখন ভবনটির সামনের অংশে ১৬ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।