পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে গতকাল (০৬.০৬.২০২৩খ্রি.) ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আইনের কঠোর প্রয়োগের সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থাসহ পেশাজীবী সংগঠনের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।‘বিআইজিএম’ এর প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উক্ত কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণের পাশাপাশি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরও পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা মানেই খাদ্যের পর্যাপ্ততা নয়। স্বাস্থ্য রক্ষায় যে গুণগতমান ও পুষ্টি সম্মত খাবার প্রয়োজন, তা’ বিষমুক্ত, রাসায়নিকমুক্ত ও জীবাণুমুক্ত রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর অনুশাসন অপরিহার্য। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগও একান্ত প্রয়োজন। এর সমান্তরালে প্রয়োজন জনগণের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন। জুস খাওয়ার প্রবণতা পরিহার করে জুসের পরিবর্তে সরাসরি ফল খেতে হবে। কারণ ফল ফাইবারে সমৃদ্ধ ও এর পুষ্টিমান অনেক উঁচু। জুসে এন্টি অক্সিডেন্ট ২৩%-৫৪% হ্রাস পায় এবং জুসে ৩৫ ভাগ চিনি বেশি থাকে, যা’ স্বাস্থ্যকর নয়। এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থায় রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে খাদ্যমান বজায় রাখা যায়। রেফ্রিজারেটরে দীর্ঘদিনের সংরক্ষিত খাবার মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ তাতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়।” অনুষ্ঠানে সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার, খুলনার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ আতিকুর রহমান (পিপিএম) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহিদা সুলতানা। বক্তারা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারি সংস্থাসমূহের সমন্বিত প্রয়াস এবং ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.