শামসুজ্জামান ডলার :  নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আবারও নির্বাচিত হলেন মতলব উত্তর উপজেলার কৃতি সন্তান ভিপি বাদল। ২৩ অক্টোবর রবিবার তাকে ২য় বারের মতো নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

তার জন্মস্থান মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে। তার পুরো নাম এ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল। তিনি সরকারি তোলারাম কলেজে ৩ বারের  নির্বাচিত ভিপি । তার পর থেকে তিনি ভিপি বাদল নামে পরিচিত।

ভিপি বাদল নারায়নগঞ্জের একজন জনপ্রিয় নেতা। ছাত্র জীবন থেকে ভিপি বাদল ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে নারায়নগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারী তোলারাম কলোজের ছাত্র সংসদের ভোটে পরপর তিনবার ভিপি নির্বাচিত হন।

ভিপি বাদল নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে ৯০ দশকে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ছাত্র সমাজকে সুসংগঠিত করেন। ভিপি বাদল এরপর জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে যুব সমাজকে একত্রিত করেন। তাকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে আওয়ামীলীগ থেকে তিনি নারায়নগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন লাভ করেন।

কিন্তুু মামলা জটিলতার কারনে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। পরে তিনি নারায়নগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মনোনীত হন। ২০০৮ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বিপুল ভোট ও জনসমর্থন লাভ করেন।  প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জন করায় জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেন।

হাইব্রিড নেতাদের পরিবর্তে তিনি নিরীহ, ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করায় নারায়নগঞ্জের আওয়ামীলীগ আজ সুসংগঠিত।

করোনা মহামারী সময় তিনি সাধারন মানুষের পাশে ছিলেন। সব সময় তিনি ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করেন এবং দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশ মেনে চলেন। তার সমৃদ্ব রাজনৈতির কারনে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আবারও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।

এদিকে ভিপি বাদলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। ভিপি বাদলের এ খবর শুনে মতলব উত্তর উপজেলাবাসীর মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।