বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। গতকাল (মঙ্গলবার) ওয়াশিংটনভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘ফরেন পলিসি’ ১০টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদদের এ তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় গত এক বছরে 'ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি' ক্যাটাগরিতে সেরা চিন্তাবিদের তালিকায় এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম।

গ্লোবাল থিংকার্সদের তালিকা প্রকাশের দশম বার্ষিকীতে শীর্ষ ১০০ জনকে ১০টি দলে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি দলে সেরা ১০ জনের নাম এসেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা, ভয়ংকর সব যুদ্ধ, যুগান্তকারী উদ্ভাবন এবং বাস্তববাদী রাজনৈতিক ধারার সংকট-সমাধান ও কৌশলের প্রয়োগ, বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ ইত্যাদি ঘটনা ও পরিবেশের মধ্যে যারা পৃথিবীটাকে আমাদের কাছে বোধগম্য করতে লাগসই সব আইডিয়া দিয়েছেন তাদেরই এ তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক চিন্তক- দু ধরনের ব্যক্তিদেরই তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে পত্রিকাটি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সর্ববৃহৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশটিতে পালিয়ে আসা আনুমানিক ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে না দিয়ে মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বাগতম জানিয়েছেন, নিজের দেশে বসবাস করতে দিয়েছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রেও শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়েছে সেখানে।

শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায় আরো আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা, আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ম্যা’র মতো ব্যক্তিরা।

এ তালিকায় উঠে এসেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন, সাংবাদিক খাশোগি হত্যায় সমালোচিত সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিল সালমান, ইরানের কুর্দি ফোর্সের কমান্ডার কাশেস সুলেমানি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডোনাল্ড টাস্ক, প্ল্যান্‌ড প্যারেন্টহুডের প্রেসিডেন্ট লিয়ানা ওয়েন, সংগীত শিল্পী এবং রাজনীতিবিদ ববি ওয়াইন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এবং প্রয়াত কূটনীতিবিদ এবং সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কোফি আনানের মতো ব্যক্তিত্বরা। সূত্র: ফরেন পলিসি