বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : জামালপুরে তৃতীয় দফায় যমুনাসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আবারও পানি বৃদ্ধি ও অবিরাম বর্ষণে চরম দুর্ভোগে রয়েছে পানিবন্দী ১০ লাখ মানুষ। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, সুপেয় পানি, শিশু খাদ্য, গো-খাদ্যের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বকশীগঞ্জ উপজেলায় পানিতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে যমুনার পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ও জগন্নাথগঞ্জঘাট পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। শাখা নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী জেলার ৭টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৯টি ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করেছে ৮টি পৌরসভার সবগুলোতেই। সব মিলে পানিবন্দি রয়েছে ১০ লাখ মানুষ। প্রায় এক মাস ধরে পানিবন্দি অবস্থায় দুর্গতদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে বকশীগঞ্জে বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ডুবে পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মেষের চর গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে মাহিন মিয়ার (১১) বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে পৌর এলাকার সীমারপাড় গ্রামের তুফানো মিয়ার ছেলে সোহান (৬) ডোবায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে মারা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.