বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ২৭ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ
উপলক্ষ্যে আজ বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদুল জামিয়া’য় কোরানখানি
অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৭টায় কলাভবন প্রাঙ্গনস্থ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জমায়েত হন। সেখান
থেকে তাঁরা সকাল সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.
আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন,
পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।
পরে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.
আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ
অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। । এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার
মো. এনামউজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী,
সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন টুম্পা সমদ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.
আখতারুজ্জামান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
নিবেদন করে বলেন, তিনি ছিলেন মানবতার কবি, সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িক
চেতনার কবি, জগরণের কবি। তাঁর বহুমাত্রিক সাহিত্য প্রতিভার মর্মমূলে আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রস্ফুটিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
কবিকে ভীষণ ভালবাসতেন। তাই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে কবি নজরুল ইসলামকে ভারত
থেকে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির সম্মানে ভূষিত করেন এবং তাঁর চিকিৎসার
জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি
বিনির্মাণে তাঁর সৃষ্টিকর্ম সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস বলে উপাচার্য
উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নজরুল
সংগীত পরিবেশন করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.