আরাফাত রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একদিকে আরাফাত রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করব, তাকে স্মরণ করব। অন্যদিকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অতিদ্রুত সংগঠিত হয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসব। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যে ভয়াবহ দানব গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, তার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা আজ বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের পরাজিত করতে হবে।
ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সে জন্য তারা একের পর এক গণবিরোধী কাজ করে চলেছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের নামে তামাশা করেছে। মানুষের ভোটের অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে।
বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব বলেন, আজকে বিএনপিকে ঘিরে বহু ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। চক্রান্ত হচ্ছে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য। চক্রান্ত হচ্ছে বিএনপিকে বিভক্ত করে তার শক্তিকে ছোট করে দেয়ার জন্য।
বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র সফল হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, কোনো দিনই তাদের (সরকার) ষড়যন্ত্র সফল হবে না। যতবার বিপর্যয় এসেছে ততবার বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি বারবার বিপর্যয়ের মুখে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে এবং নতুন জীবন লাভ করেছে। এবার তেমনটি হবে।
দেশের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রাজনীতিকে ধারণ করে। সে জন্যই বিএনপির প্রতি তাদের এত দুর্বলতা, বিএনপিকে তারা ভালোবাসে। সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
যত সংকটই আসুক বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে হবে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের রাজনীতিকে বুঝে সেই রাজনীতির পক্ষে অত্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা শিরীন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, হালিমা নেওয়াজ আরলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো । মালয়েশিয়া থেকে ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় এনে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই সময় সরকারবিরোধী টানা ধর্মঘটে ছিল বিএনপি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.