বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ৫২ বছর বয়সেও শিক্ষার আশা ছাড়েননি শফিকুল ইসলাম। তাই নাতী-নাতনীদের বয়সী ছেলে মেয়েদের সঙ্গে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। গত ০২ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি, সমমান ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন এই ব্যক্তি। তার পরীক্ষা কেন্দ্র বগুড়ার শেরপুরের শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ।
সরেজমিন মঙ্গলবার (০৫ফেব্রুয়ারি) এই কেন্দ্রে গেলে ইংরেজী বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর বেশ উদ্যোমী ও প্রাণচঞ্চল দেখা যাচ্ছিল শফিকুল ইসলামকে। এসময় এই বয়সে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার পরিবারের সবাই শিক্ষিত। বিশেষ করে আমার তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে বড় মেয়ে শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেলী মহিলা অনার্স কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত। মেজো মেয়ে ধুনট উপজেলার বিশ^হরিগাছা কলেজে অধ্যায়নরত এবং সর্বশেষ ছোট মেয়ে স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া করছে। স্ত্রীও লেখাপড়া জানে। তাই আমি কেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকবো। শিক্ষার আলোয় আলোকিত পরিবারের সদস্যদের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেছি। একইসঙ্গে জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় এবছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছি। পরীক্ষার দ্বিতীয়দিনে ইংরেজী বিষয়ের পরীক্ষাও মোটামুটি ভালো হয়েছে বলে জানান পঞ্চাশোর্ধ পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম।
অত্র কেন্দ্র সচিব ও শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউসুফ আলী বলেন, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চান্দিয়ারপাড়া গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ শেখের ৫২বছর বয়সী ছেলে শফিকুল ইসলাম এবারের দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তিনি উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র। যার রেজি: নং-১৬৩৯১৫ ও রোল নং-৩০৩৪৪৩। নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়তে তার এই অনুপ্রেরণায় স্বল্প শিক্ষিত অনেকেই উৎসাহী হবে। এছাড়া তার কেন্দ্রে ২১৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাহান্ন বছর বয়সী এই পরীক্ষার্থীকে নিয়ে সব মহলেই মোটামোটি আলোচনা হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্র সচিব ইউসুফ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.