বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সেপ্টেম্বরের শেষদিন অর্থাৎ চলতি অর্থ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের দেনার পরিমাণ এতটাই বাড়বে যে, তা আমেরিকার সামগ্রিক অর্থনীতির সমান হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম এমন নাজুক পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দল-নিরপেক্ষ ‘কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস’ (সিবিও) বুধবার উদ্বেগজনক এ তথ্য প্রকাশ করেন।
সিবিও জানায়, করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে সরকার বিপুল অর্থ ব্যয়ের পন্থা অবলম্বন করায় পুরো অর্থনীতিতে তার বাজে প্রভাব পড়েছে।
সিবিও-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের দেনার পরিমাণ দাঁড়াবে জাতির অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৯৮ শতাংশের সমান। গত অর্থ বছরে দেনার পরিমাণ ছিল অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৭৯ শতাংশ।
তারা আরও আশঙ্কা করেছে, সামনের বছর সরকারের দেনার পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির আকারকে ছাড়িয়ে যাবে। ফলে সরকারের বার্ষিক বাজেট ঘাটতি সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
চলতি অর্থ বছর (৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। গত অর্থ বছরের চেয়ে তা তিনগুণ বেশি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক ট্যাক্স কর্তন এবং সরকারি ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করায় ঘাটতির পরিমাণ অকল্পনীয় আকার ধারণ করছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর সরকার সাধারণত ৪ ট্রিলিয়ন ডলার করে ব্যয় করে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সেবামূলক কাজে। কিন্তু করোনা রিলিফ হিসেবে গত মার্চ থেকে সরকার ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো ব্যয় করেছে। এ অর্থের বড় একটি অংশ ব্যয় করা হয় ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াতে এবং বেকার ভাতা হিসেবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.