বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : হারলেই ট্রফি হাতছাড়া হবে এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৬ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলটি শেষ পর্যন্ত ২২৬ রানে অলআউট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন। এছাড়া ৪৩ রান করেন সাব্বির রহমান রুম্মন।
প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয় পাওয়া নিউজিল্যান্ডকে ট্রফি নিশ্চিত করতে হলে ২২৭ রান করতে হবে।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টস জিতে বাংলাদেশ দলকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
শুরু থেকেই দেখে শুনে ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ধীর গতিতে ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার লিটন দাসের উইকেট। আগের ম্যাচে ১ রানে আউট হওয়া লিটন এদিনও ফেরেন ১ রানে।
এরপর বৃষ্টির বাগড়া, মিনিট দশেক পর খেলা আবার শুরু হয়। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ম্যাট হেনরির বলে এলবিডব্লিউ হন দেশসেরা ওপেনার তামিম। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।
১৬ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে খেলায় ফেরাতে চাপ এড়িয়ে স্বাভাবিক খেলার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৫ রানে হ্যানরির বলে বৃত্তের মধ্যে ক্যাচ তোলেন মুশফিক। দ্রুত গতিতে আসা বলটি টড অ্যাস্টলের হাতে জোড়ে আঘাত হানে। লাইফ পান মুশফিক।
বল টু বল রান করে যাওয়া সৌম্য সরকার ওয়াইড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ডি গ্রান্ডহোমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। তার আগে ২৩ বলে ২২ রান করেন সৌম্য।
ঠিক পরের ওভারে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ১৫ রানের রস টেইলের কল্যাণে ফের লাইফ পান। দুইবার লাইফ পেয়েও ৩৬ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি মুশফিক। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৯৩ রানে ৫ উইকেট পতনের পর হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ষষ্ঠ উইকেটে সাব্বির রহমান রুম্মনকে সঙ্গে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেই টড অ্যাস্টলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন। চলতি ওয়ানডে সিরিজে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি করেন মিঠুন।
ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। ৬৯ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৭ রান করে বোল্ড হন মিঠুন। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯০ বলে করেন ৬২ রান।
শেষ দিকে একমাত্র ভরসা ছিল সাব্বির রহমান রুম্মন। শুরু থেকে ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু হঠাৎই যেন ছন্দপতন। ফার্গুনসনের বলে জেমস নিসামের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন সাব্বির। তার আগে ৬৫ বলে সাতটি বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করেন।
সাব্বিরের বিদায়ের পর লেজের ব্যাটসম্যানরা প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। ২২৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ও ভারে ২২৬/১০ (মিঠুন ৫৭, সাব্বির ৪৩, মুশফিক ২৪, সৌম্য ২২, মিরাজ ১৬, মাশরাফি ১৩, সাইফউদ্দিন ১০; ফার্গুনসন ৩/৪৩)।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.