বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, আমরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না তাই প্রিজাইডিং অফিসারদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষ ভাবে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে যেন কোন প্রকার প্রতিকুল অবস্থার সৃষ্টি না হয়। সবার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আপনারা সচেতন থাকবেন। আপনাদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হলে মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে, ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, যেটা নির্বাচন কমিশন আশা করে না।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নিয়োগকৃত প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে মতবিনিময়কালে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নতে এসব কথা বলেন তিনি।
এবার যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই লক্ষে ১২৬ জন প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি বলেন, আপনারা যারা প্রিজাইডিং অফিসার আছেন, সবার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। নিজের পছন্দ-অপছন্দ যেন ভোটের মাঠে প্রতিফলিত না হয়। সেটাকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখে দায়িত্ব পালন করবেন। আপনাদের ব্যক্তিগত দুর্বলতার কারণে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। বে-আইনি কোন কাজ করবেন না। ভুল সিদ্ধান্ত দেবেন না। আপনাদের একটা ভুল সিদ্ধান্তে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। কোন প্রকার সাহস হারাবেন না। আপনাদের সাথে প্রশাসন, পুলিশ সর্বপরি নির্বাচন কমিশন আছে। পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্ত না নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার সাহস রেখে প্রয়োজনে কেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্দেশ দেন তিনি।
অফিসারদের হুশিয়ার করে দিয়ে কবিতা খানম বলেন, দেশ, দেশের মানুষ ও সমগ্র পৃথিবী এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন কোন কর্মকাণ্ড করবেন না, যার কারণে নির্বাচন কমিশনকে জনতার আদালতে দাঁড়াতে হয়, জাতির সামনে মাথা নত করতে হয়। দেশ ও জাতিকে বিদেশিদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। কবিতা খানম বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায়না, প্রশংসা চায়। ৩০ ডিসেম্বর আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যেন প্রশ্নের উর্ধ্বে থাকে এই প্রতিজ্ঞা আপনাদের নিতে হবে। সাংবাদিক ও কেন্দ্র পরিদর্শকদের ব্যাপারে তিনি বলেন, এই সংক্রান্ত নীতিমালা দেওয়া হয়েছে। সবাই যেন সেসব নিয়ম মেনে কেন্দ্র পরিদর্শন করে, সেই ব্যাপারে আপনারা সজাগ থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব পালনে নিজেদের পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন। ফলাফল ঘোষণার পরও যেন উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকে সেই ব্যাপারে সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগীতা যেন প্রতিহিংসায় রুপ না নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেন তিনি।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল, খুলনা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবর রহমান, যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী এসময় বক্তৃতা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.