আশিক সরকার : মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৭ জুলাই সোমবার ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ১৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী নৌকার মাঝি হতে নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং হেভিওয়েট প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও গুলশান থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম।

জানা যায়, ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বিল্লাল হোসেন সরকার মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু দায়িত্বভার গ্রহণের ২ মাস ২৭ দিনের মাথায় ওই বছরের ১০ মে তিনি মারা যাওয়ায় পদটি শূণ্য হয়। পরবর্তীতে একই বছরের ৭ আগস্ট উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী হন রফিকুল আলম ওরফে জজ।

রফিকুল আলম ওরফে জজ মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পর চমক দূরের কথা, নূন্যতম উন্নয়নও উপহার দিতে পারেননি বলে জানান পৌরবাসী। এ নিয়ে স্থানীয় পৌর বাসিন্দাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন। উন্নয়ন বঞ্চিত পৌর বাসিন্দারা এবার আশ্বাসের বৃত্তবন্দি না থেকে কাঙ্খিত উন্নয়নের নিশ্চয়তা চান।

আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় এলাকাবাসী নিজেদের পছন্দের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাহবুবুর রহমান সেলিমকে ভোটে দাঁড় করাতে তোড়জোড় শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করে করেন মাহবুবুর রহমান সেলিম। তাঁর সমর্থনে ক্ষমতাসীন দলটির নেতা-কর্মীরা পৌর এলাকাসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার-ব্যানার সাজাচ্ছেন।

এছাড়াও পৌর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান ও করোনাকালীন সময়ে পৌর এলাকার সকল স্তরের লোকজনের পাশে দাঁড়িছেন মাহবুবুর রহমান সেলিম। তাকে ঘীরে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ বাসিন্দাদের মাঝে অন্যরকম এক জাগরণ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে নিজের কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে দলীয় হাইকমান্ডেরও নজরে আসছেন জনাব মাহবুবুর রহমান সেলিম।

মেয়রপ্রার্থী জনাব মাহবুবুর রহমান সেলিম বলেন, খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা চান আমি যেন মেয়র পদে প্রার্থী হই। আমরা দেখেছি যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ছেংগারচর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানকার নাগরিকরা সব রকমের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে আমি মেয়র নির্বাচিত হলে ছেংগারচরকে আধুনিক ও স্মার্ট পৌরসভায় রুপান্তর করবো ইনশাআল্লাহ।