বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে উৎসবের আমেজের পাশাপাশি জনগণের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, মুজিববর্ষ পালনের লক্ষ্যে পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ধুলামুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সকলকে কাজ করতে হবে।

আজ বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আগামী বছর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী মুজিব বর্ষের কর্মসূচি শুরু হবে। তার আগে ১০ জানুয়ারী ২০২০ সাল থেকে ক্ষণ গণনা শুরু করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২টি বিভাগের আওতাধীন প্রায় ৩০টি দপ্তর/সংস্থা রয়েছে। দপ্তর/সংস্থাগুলো কি কি কর্মসূচি পালন করবে তা নিয়ে ১টি বুকলেট তৈরি করা হবে।

এ সময় জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল আহসানসহ বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা প্রধান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে লোগো ও পোস্টার তৈরির কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্রদানকৃত সেবা সমূহের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১২টি সেবা চিহ্তি করে প্রতি মাসে ১টি করে সুনির্দিষ্ট সেবা প্রদানের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশের আর্সেনিক প্রবণ এলাকায় বিনামূল্যে ৮০ লক্ষ নলকূপের পানির আর্সেনিক পরীক্ষাকরণ ও চিহ্নিতকরণের কাজ করবে। জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রতি উপজেলায় কমপক্ষে ১টি লাইব্রেরীতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হবে। বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের চিত্র ও বক্তব্য প্রদর্শনী এবং রচনা প্রতিযোগিতা। আয়োজন করা হবে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।

প্রধান সমন্বয়ক ড.কামাল নাসের বলেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহান নেতাদের জন্মশতবার্ষিকী যেমন আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হয় বাংলাদেশেও তেমনিভাবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে।