হাইব্রিড নয়; বীজ রাখা যায়, সার—কীটনাষক কম লাগে এমন উচ্চ ফলনশীল ইনব্রিড জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের দাবী
হারিয়ে যওয়া দেশীয় জাতের বীজ বিনিময়, প্রদর্শণী ও বিপননের জন্য আজ ৩০ মার্চ বটিয়াটার গঙ্গরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণ বীজমেলা ২০২২। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ আয়োজিত এই মেলায় এলাকার অর্ধশতাধীক নারী কৃষক তাদের সংরক্ষিত বীজ নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এই মেলার প্রত্যেকটি স্টলে কমপক্ষে ২৫ থেকে ১১০ জাত ও প্রজাতির ফলজ, বনজ ও সবজি বীজ প্রদর্শীত হয়। বীজ মেলায় কৃষকরা হাইব্রিড নয়; বীজ রাখা যায়, সার—কীটনাষক কম লাগে এমন উচ্চ ফলনশীল ইনব্রিড জাত উদ্ভাবনের দাবী।
উন্নয়ন সহযোগি মিজরিওর জার্মানীর সহযোগিতায় ৩০টি কৃষক সংগঠন মেলাটির আয়োজক সহযোগি হিশাবে দায়িত্ব পালন করে। লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের সভাপতিত্বে মেলা শেষে এক আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শামীম আরা নিপা ও গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আসলাম হালদার, খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু বিশ^াস, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বুলু রায় গাঙ্গুলী, ডেইলি স্টার খুলনার স্টাফ রিপোটার দিপংকর রায়, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোটার শেখ আল এহসান, ইউপি সদস্য শেখ মো: মোশাররফ হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিত টিকাদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন মিয়া, ডা. শৈলেন্দ্রনাথ মল্লিক, শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র রায়, কৃষক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক বিভাস মণ্ডল প্রমুখ।
বীজ মেলায় প্রদর্শিত কৃষকদের বীজের স্টলগুলো থেকে বীজের সংখ্যা, বীজের বৈচিত্র্যময়তা, বীজের মান এবং বীজ উপস্থাপন কৌশলের উপর ভিত্তি করে একটি নির্বাচনী প্যানেলের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী নারী কৃষকদের মধ্যে লক্ষী রাণী ঢালী প্রথম, দিশা সরকার দ্বিতীয় এবং শংকরী সরকারকে তৃতীয় নির্বাচিত করে পুরষ্কার প্রদানসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল নারী কৃৃষকদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে। মেলায় স্থানীয় ১৭টি গ্রামের নারী কৃষকরা ব্যতিক্রমধর্মী এই বীজ মেলায় তাদের সংগৃহীত ও সংরক্ষিত বীজ প্রদর্শন, বিনিময় এবং বিপনন করছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.