এখন চলছে কার্তিক তাও আবার শেষের দিকে। আসবে অগ্রহায়ণ। অগ্রহায়ণ পার হলেই শীতের বার্তা নিয়ে আসবে পৌষ। কিন্তু প্রকৃতিতে যেন দিন ছোট হলেও সবে মাত্র শীতের পরশ বোলাতে শুরু করেছে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত।পুরোপুরি শীত আসতে এখনও সময় নিলেও, বাজারে আসতে শুরু করেছে গরম কাপড়। প্রস্তুত নিতে শুরু করেছে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলো। বেচাকেনা তেমন একটা জমে ওঠেনি। তবে দোকানিরা আশাবাদী, শীত বাড়লে বাড়বে কেনাবেচাও। তারপরও বসেনি দোকিছুটা হলেও ব্যস্ততা বেড়েছে মহসীন মার্কেট,গির্জা মহল্লা,ও চকবাজারে। এদিকে এরই মধ্যে নগরীর ফুটপাতসহ কিছু কিছু মার্কেটে বিক্রির পরসা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকার অভিজাত দোকান গুলোতে শীতের কাপড় বিক্রি করতে দেখা যায়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দোকানগুলোতে প্রতিদিনই উঠছে শীতের কাপড়। পাওয়া যাচ্ছে কম্বল, উলের তৈরি সোয়েটার, ব্লেজার, টুপি, কাপড়ের জুতো, কেটস, জ্যাকেট, ট্রাউজার, গরম কাপড়ের তৈরি প্যান্ট, চাদরসহ নানা আইটেমের গরম কাপড়।
হাজী মহসীন মার্কেট একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিক্রি পুরোপুরি এখনো শুরু হয়নি। তবে ক্রেতারা আসছেন। ১৫০০ থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা দামের কম্বল রয়েছে তাদের কাছে। নগরীর ব্যবসায়ীরা দোকানে তুলছেন মেয়েদের কার্ডিগান ও ছেলেদের জন্য সোয়েটার, জ্যাকেট, ব্লেজার, ট্রাউজার, জাম্ফারসহ ৩০ আইটেম এরও বেশি শীত বস্ত্র। সাথে শিশুদের পোশাক তো থাকছেই। ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের পাশপাশি নগরীর বিভিন্নস্থানে অসংখ্য দোকান সহ ফুটপাত রয়েছে, এসব স্হানে গরম পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন তারা। সিটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ইতিমধ্যে শীতের গরম পোশাক থরে থরে সাজিয়ে রাখছেন। সব মিলিয়ে বিক্রিও ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা।
তারা আরো জানান, এখনও শীত বরিশালে নেই বললেই চলে, শীত শুরু হলে তবে গতবারের চেয়ে ব্যবসা ভালো হবে। শীতবস্ত্র বিক্রির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে তারা জানান। সকাল-সন্ধ্যে ঘাসের ওপর মুক্তোর মতো দেখা যাচ্ছে শিশিরের কণা। ভোরের প্রকৃতিতে হাত বাড়লেই ঠান্ডাঠান্ডা ভাব। গাছ থেকে ঝরছে পাতা, ঝরছে শিউলি ফুল। শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাচ্ছেন অনেকেই। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.