বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : বান্দরবানে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত দু’দিনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৩১ মিলিমিটার। বান্দরবানে সাঙ্গু, মাতা মুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপদসীমার কয়েক ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
শুক্রবার রাতে পানি কিছুটা কমলেও ভোর রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিনটি নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বান্দরবানের ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। জেলা সদরের দশটি আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা উঁচু জায়গা ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
বান্দরবান-কেরানিরহাট চট্টগ্রাম সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় চতুর্থ দিনের মতো সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পাহাড়ধসের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানছি উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জনপ্রশাসন সেনাবাহিনী ও পৌরসভার পক্ষ থেকে আশ্রয় শিবিরগুলোতে শুকনো খাবার ও খিচুড়ী দেয়া হলেও তা অপ্রতুল। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়। এসব এলাকায় ও আশ্রয় শিবিরগুলোতে সেনাবাহিনী বিশুদ্ধ ট্যাবলেট দিচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বান্দরবানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে।
জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাত উপজেলায় ত্রাণ সহায়তাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.