নিজস্ব প্রতিবেদক: টাইটানিক জাহাজের আদলে একটি প্রোটোটাইপ তৈরির লক্ষে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড সাথে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের চুক্তি স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল বুধাবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সভাকক্ষে চুক্তি স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
১ কোটি ৭৬ লক্ষ ২৩ হাজার ৩ শ টাকা ব্যয়ে নির্মিত টাইটানিক জাহাজটি মডেল খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড চুক্তির ২৩০ দিনের মধ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের নিকট হস্তান্তর করবে।
বিশ্বের অন্যতম অভিজাত জাহাজ টাইটানিক। ১৯১২ সালে বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, টাইটানিক কোনোদিনই ডুববে না। কিন্তু প্রথম যাত্রাকালেই ইতিহাসের অন্যতম ট্র্যাজেডিই ঘটে যায়। কিন্তু টাইটানিককে আজও নিজেদের স্মৃতিতে ভাসিয়ে রেখেছে মানুষ। ১৯৯৭ সালে জেমস ক্যামেরনের ছবি ‘টাইটানিক’ তাতে আরও ইন্ধন জোগায়। এরপর অনেকেই ভাবতে শুরু করেন, যদি আরও একবার ভাসিয়ে তোলা যায় এই কিংবদন্তির জাহাজটিকে। সেই জাহাজটির মডেল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে দর্শকদের আরও বেশি মনের আনন্দ জোগাবে বলে মনে করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনির চৌধুরী, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন বিএন এম ফিদা হাসান, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের কিউরেটর সুকল্যান
বাছাড়, মাকসুদা বেগম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মঞ্জুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন,“টাইটানিক জাহাজ নিয়ে এক বিশাল ইতিহাস, ইতিহাসে উপযোগ্য করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলোকে এই মডেলটি জাদুঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তা বাড়াবে।
খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন বিএন এম ফিদা হাসান বলেন,“ দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এক সাথে কাজ করবে, যার ফলে উক্ত টাইটানিক স্থাপন করা হলে সেটি উপভোগ্য হবে এবং দর্শক যারা আসবেন তারা যেন উপভোগ করতে পারেন সেটির সর্বান্তক প্রচেষ্টা থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.