জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে সামুদ্রিক আবহ তৈরী করে ভাসানো হয়েছে ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজের অনিন্দ্য সুন্দর এক মডেল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত শিশুদের এক উৎসবমুখর সমাবেশে আজ ২২ মার্চ, ২০২২ খ্রি: এ জাহাজটি উদ্বোধন করেন। ১ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে 60ফুট দৈর্ঘ্যের সুপারস্ট্রাকচারের এ জাহাজটি বিজ্ঞান জাদুঘরের প্রদর্শনী বস্তু হিসেবে সংযোজিত হয়ে জাদুঘরের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক রচনা করেছে। কৃত্রিম এক জলাধারে প্রপেলারের ঘূর্ণনে এবং জাহাজের ভেঁপুর শব্দে জাদুঘর প্রাঙ্গন পরিণত হয়েছে একখন্ড সমুদ্রে। ১৯১২ সালে আটলান্টিকে ডুবে যাওয়া বিলাসবহুল প্রমোদতরী টাইটানিক জাহাজটির অনুকরণে এ মডেলটি স্থাপন করা হয়। এ জাহাজের কেবিন ও ডেক এমনভাবে সজ্জিত করা হয়েছে, যেন এটি বাস্তবে এক যাত্রীবাহী জাহাজ। জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এ প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা, যার সুদক্ষ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “শুধু বিনোদন নয়, জাহাজের নির্মাণশৈলী, নির্মাণগত ত্রুটি, জাহাজ ডুবির কারণ ইত্যাদি বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে বৈজ্ঞানিক ধারনা দিতে জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে।”
এ উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মরণে আয়োজন করা হয় গান, কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতার আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। পিতার দেখানো পথে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করছে। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে প্রবেশ করেছে।” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড.আশফাক হোসেন এবং ড.শাফায়েত হোসেন খাঁন। রাজধানীর তিনটি স্বনামধন্য স্কুলের প্রায় আড়াইশত শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিজ্ঞান বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.