পরিক্রমা ডেস্ক : ভোক্তা অধিকার শুধু আইন প্রয়োগ করে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, এ লক্ষ্যে প্রয়োজন দক্ষ জনবল ও উন্নত প্রযুক্তি। আজ (১০.০৯.২০২৩খ্রি.) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ‘খাদ্য নিরাপত্তায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ২০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের অন্তর্ভূক্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বিত একটি দল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে পরিদর্শনে আসলে বিজ্ঞান জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ বিজ্ঞান জাদুঘর তরুণ প্রজন্মকে খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে কাজ করে জনমত সংগঠিত করতে ইচ্ছুক। ভোক্তা অধিকার আইন নিরঙ্কুশভাবে নিশ্চিত করা অধিদপ্তরের একার পক্ষে কখনো সম্ভব নয়। এজন্য ভোক্তা অধিকারের আইন সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা, পণ্য বা সেবার মান এবং ত্রুটি এবং দণ্ডিত ব্যবসায়ীদের তথ্য তুলে ধরে মানুষকে সতর্ক করতে হবে। এর সমান্তরালে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, দুধে ভেজাল রোধে মিল্ক ভিটায় আধুনিক মিল্ক অ্যানালাইজার প্রযুক্তি অনেক সুফল বয়ে এনেছে, যার মাধ্যমে দুধের তাৎক্ষণিক গুণগতমান নিশ্চিত করা গেছে। সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে অনেক দুর্নীতি হ্রাস করা সম্ভব। কোটি কোটি ভোক্তার জন্য উৎপাদিত পণ্যের মান নিশ্চিত করা সীমিত জনবল দিয়ে সম্ভব নয়। সে লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে এবং জনবলকে সেভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া সুলতানা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.