পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, “ব্যাংকারদের সরেজমিনে ঋণের আওতাভুক্ত প্রকল্পগুলো দেখতে হবে এবং ঋণের সদ্ব্যবহার বা অপব্যবহার হচ্ছে কিনা তা’ নিশ্চিত করে সঠিক রিপোর্ট দিতে হবে। ব্যাংকারদের মধ্যেও ইদানীং প্রচণ্ড অর্থলোভ ঢুকে যাচ্ছে এবং অনেকে ব্যাংকিং পেশাকে কলঙ্কিত করছে। চেক জালিয়াতি বা এল.সি. জালিয়াতিসহ ব্যাংকিং জগতে অপরাধ দমনে ব্যাংকারদের অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা নিতে হবে। ব্যাংকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বড় বড় গ্রাহকরা যেভাবে আদর আপ্যায়ন পান, ঠিক তেমন আদর আপ্যায়ন ও সম্মান সাধারণ গ্রাহক বা লুঙ্গি পড়া গ্রাহকদেরও জানাতে হবে। বিশেষ কাউকে অন্যায় অনুগ্রহ করাও দুর্নীতির সমতুল্য। যেসব প্রকল্প দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে, পরিবেশ আইন মেনে চলে, সেসব প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। ঋণের টাকা দিয়ে ঋণ গ্রহিতা যেন গুলশান, বনানীতে ফ্ল্যাট বা প্রাডো-পাজেরো গাড়ি না কেনে, তা’ কঠোর মনিটরিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনীতির জন্য ব্যাংক অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কিন্তু দুর্নীতি ও অদক্ষতা ব্যাংকের শত্রু। প্রতিটি ডকুমেন্ট অত্যন্ত সততার সাথে পরীক্ষা করতে হবে। চোখ বন্ধ করে চেকে বা ডকুমেন্টে স্বাক্ষর করেছে কিন্তু এক টাকাও আত্মসাৎ করেননি, কিন্তু শুধুমাত্র অদক্ষতার কারণে অনেক ব্যাংকার জেল খাটছে। বন্ধকী সম্পদের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে ডিসি অফিস ও এসি ল্যান্ড অফিসের রেকর্ড পত্র সূক্ষ্ণভাবে যাচাই করতে হবে।
এক্ষেত্রে অবহেলা বা অদক্ষতা দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করে এবং বিপর্যয় ডেকে আনে। অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা কারাবরণ করছেন, এই পরিণতি থেকে বাঁচতে মহান স্রষ্টা আল্লাহকে ভয় করে কঠোর সততা ও ন্যায় নিষ্ঠতা মেনে চলতে হবে। অবৈধ পথে অর্জিত সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারেনি। এসব সম্পদ ইহকালে দুর্ভোগের সৃষ্টি করে এবং পরকালেও মহান স্রষ্টার বিচারের মুখোমুখী হতে হবে। ব্যাংকিং চাকুরিকে চাকুরি মনে না করে জনসেবা এবং অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার মিশন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।” আজ (২৪জুলাই ২০২৩খ্রি.) রাজধানীর রুপালি ব্যাংক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ব্যাংকিং কর্মকর্তাদের দু’ঘণ্টার এক প্রশিক্ষণ অধিবেশনে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী একথা বলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.