 
     পরিক্রমা ডেস্ক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, মো: আহসানুল ইসলাম (টিটু), এম পি, বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হতে যাচ্ছে। উন্নয়নের পথযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে বৈশ্বিক বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু আমরা ২০২৬ সালে এলডিসি হতে উত্তরণ করছি, তাই আবুধাবিতে আসন্ন ১৩তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রণালয় সম্মেলনে আমরা আমাদের দেশের জন্য সেরা ফলাফল বয়ে আনার জন্য কাজ করব।’
 পরিক্রমা ডেস্ক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, মো: আহসানুল ইসলাম (টিটু), এম পি, বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হতে যাচ্ছে। উন্নয়নের পথযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে বৈশ্বিক বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু আমরা ২০২৬ সালে এলডিসি হতে উত্তরণ করছি, তাই আবুধাবিতে আসন্ন ১৩তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রণালয় সম্মেলনে আমরা আমাদের দেশের জন্য সেরা ফলাফল বয়ে আনার জন্য কাজ করব।’
তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এবং স্কুল অফ বিজনেস ইকোনমিক্স (এসবিই) দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এই বক্তব্য রাখেন। সেমিনারের শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের ১৩তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রণালয় সম্মেলনে বাণিজ্যের
ভবিষ্যতের দিক: বাণিজ্যের ভবিষ্যত’। এই সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আসন্ন ১৩ তম মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সম্ভাব্য সুবিধার সন্ধান ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ সমাধানের পরিকল্পনা সম্পর্কে চর্চা করা। সেশনে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জনাব জাভেদ মুনির আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রফেসর এসকে. তৌফিক এম হক, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এসএইচএসএস এর ডিন এবং এস আই পি জি এর পরিচালক।
জনাব আহসানুল ইসলাম (টিটু), এমপি আরো বলেছেন, যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক থেকে আমাদের অর্জন গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের প্রধান মনোযোগ হল বেশি করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। আমাদের প্রধান শক্তি মানব সম্পদ এবং আমাদের নির্বাচনী ঘোষণাপত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যথেষ্ট অগ্রাধিকার ছিল । তিনি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং ‘এক গ্রাম, এক পণ্য’ প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ করেন । তিনি আশা করেন যে, বাংলাদেশ শীঘ্রই এসিয়ান দেশগুলির সাথে পিটিএ এবং ভারত ও জাপানের সাথে সেপা সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হবে।
সেমিনারের মূল বক্তা ছিলেন প্রফেসর হেলাল আহম্মদ, ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন এবং অর্থনীতি গবেষণা প্ল্যাটফর্মের পরিচালক। তিনি বলেছিলেন, ডব্লিউটিওকে অবশ্যই ‘প্রধান’ খেলোয়ার হিসেবে থাকতে হবে, তবে বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নে দ্বিগুণ শ্রম দিতে হবে। বাংলাদেশের অবশ্যই ভালো বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য অভ্যন্তরীণ বাজারের
সম্প্রসারণ ক্ষমতা, তথ্য এবং বিশ্লেষণশীল ক্ষমতা তৈরি করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বিস্তৃত করতে হবে।’
বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ডক্টর মোস্তফা আবিদ খান বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা নিয়ম ভিত্তিক বাজার নীতি এবং বিরোধ সমাধান ব্যবস্থা তৈরি করার কারণে আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডব্লিউটিও এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বিভিন্ন পণ্যের শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়েছি যার প্রয়োজন আমাদের ছিল। বাংলাদেশকে প্রমাণধারক ভিত্তিতে বাণিজ্য নীতি তৈরি করা এখনই সময়। সামুদ্রিক মাছ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলেও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যথেষ্ট সক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের সতর্ক হতে হবে এই সম্পর্কে। সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডব্লিউটিও সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ যা পায় তার থেকেও সে আরো বেশী অর্জনের যোগ্যতা রাখে। তাই, গ্রীন রুম আলোচনায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের এলডিসি ও জি৯০ গ্রুপের গ্রুপের সাথে বিষয়-নির্দিষ্ট গঠনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও, এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট করা দেশ হিসেবে এলডিসি ৫ ঘোষণায় মনোনিবেশ করতে হবে।
এসআইপিজি, এনএসইউর অধ্যাপক শহিদুল হক ডব্লিউটিও এর সংশোধন নিয়ে আলোচনা করেন। উনি বলেছেন যে দেশগুলির ডব্লিউটিও-এর কাঠামো সংশোধনের দাবি চালিয়ে যাওয়া উচিত যাতে এর স্বচ্ছতা সংরক্ষিত হয়। ‘বাণিজ্যিক সমস্যাসমূহ সমাধানে রাজনীতি এবং মানবাধিকারের মত বিষয়সমূহে পার্থক্য থাকা উচিত। সংখ্যার তথ্য থাকুক আর না থাকুক, মৎস্যখাতে ভর্তুকি বজায় থাকার জন্য আমাদের দৃঢ় আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের সিইও ড. মোঃ জাফর উদ্দিন বলেন আমাদের উচিৎ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতিতে মনোনিবেশ করা এবং বাণিজ্যিক কূটনীতির সক্ষমতা বাড়ানো।
অধিবেশনের সভাপতি হিসাবে, জনাব জাভেদ মুনির আহমদ বলেন যে বর্তমানে বাণিজ্য সংলাপগুলি আরও জটিল হয়েছে। রেমিট্যান্স এবং শ্রমিকদের গতিশীলতা এখন গুরুত্বপূর্ণ দিক। ধনী দেশগুলি আবার তাদের শিল্পসংগঠনের পুনর্নির্মাণ করছে এবং এ্র ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক কাঠামো পরিবর্তন হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বাণিজ্য এবং বিরোধ সমাধানে ভাল আলোচক এবং দক্ষ আইনজীবী প্রয়োজন। জনাব আহমাদ সেমিনার সমাপ্ত করেন, এই বলে যে, এনএসইউ সরকার সঙ্গে শক্তিশালী সহযোগিতায় নীতি নির্ধারণ তৈরিতে অংশগ্রহণ করতে চায় এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য নেতৃত্বকে গড়ে তোলার জন্য বদ্ধ পরিকর।
বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন সংস্থা, দূতাবাস, মিডিয়া আউটলেট এবং অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি এবং অনলাইনও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এনএসইউ এবং এসআইপিজি এর বিশিষ্ট অনুষদ সদস্যরাও এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ প্রশ্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেছিলেন। দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণ এই আলোচনাকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.