শামসুজ্জামান ডলারঃ মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে করোনা উপসর্গে দু’দিনে ২ জন মারা যায় এবং সেই দুই দাফনেই অগ্রনী ভূমিকায় ছিলেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক টীম। এ দু’দাফনে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে অন্যন্য ভূমিকা রাখেন শাওন হাসনাত, নিয়াজ মোর্শেদ ছোটন, ওয়াসিম মাঝি, দ্বীন ইসলাম, সাইফুল ইসলাম শাওন।
শুক্রবার ভোরবেলা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারাযায় উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের কাচারীকান্দি গ্রামের জামান হোসেন(১০)। যার পিতার নাম আমির হোসেন। কাচারীকান্দি তার নানার বাড়ী, নিজবাড়ী এখরাছপুরে। ঢাকা থেকে অসুস্থ হয়ে নানার বাড়ীতে আসে।
শনিবার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের শামসল হক মোল্লা(৬১)করোনা উপসর্গ নিয়ে রাত ২.৪৫ মিনিটে মৃত্যু বরন করেন। তিনি চট্রগ্রাম থেকে অসুস্থ হয়ে বাড়ী আসেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারাগেলে সাধারন মানুষের মধ্যে যখন আতংক বিরাজ করে ঠিক তখনই উপজেলার ফরাজীকান্দির একঝাক তরুনদের নিয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টীমটি এগিয়ে আসে মৃত ব্যক্তির দাফন কাজে। দাফন কাজে সার্বিক সহযোগীতার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির বাড়ী জীবানুবিনাসকারী স্প্রে সিটানো, ওই বাড়ীটি লকডাউন করলে (দরিদ্র হলে) ওই বাড়ীর মানুষদের খাবার দাবারের খোজখবর রাখাসহ আনুসাংগিক কাজ করে যাচ্ছেন এই স্বেচ্ছাসেবক টীম।
এছাড়াও এই টীমটি ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ীতে অন্যকোন স্থান থেকে আসা ব্যাক্তিকে ১৪ দিন হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়ে অনুরোধ করে আসছে, সর্বত্র সামাজিক দুরত্ব বজায়ে রেখে চলা, স্থানীয় বাজারগুলোতে জীবানু নাশক স্প্রে ছিটানোসহ এ জাতীয় নানাবিধ কাজ করে আসছে টীমটি।
মৃত ব্যক্তির গোসল ও দাফনের জন্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ নাছির উদ্দিন মৃধা এবং এ বিষয়ে ফরাজীকান্দিতে সরেজমিনে কাজ করেছেন এস আই ইব্রাহিম। মৃতব্যক্তিদ্বয় ও তাদের পরিবারের স্যাম্পল নিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
মৃত ব্যক্তির গোসল ও দাফনের কাজ করেছেন চরমোনাইয়ের ভক্ত একটি সেচ্ছাসেবক টিম।
দাফন কার্যক্রমে সার্বিক সহোযোগিতা করেছেন বশির আল হেলাল, পলাশ দেওয়ান, ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.