প্রথম রমজান থেকে প্রতিদিন প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও মাসব্যাপী এই ইফতার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ধারাবাহিক ইফতার কার্যক্রমের ব্যাপারে আয়োজকরা জানিয়েছেন, সারাদিন পড়ালেখা করে দিনশেষে শিক্ষার্থীদের যেন ইফতার নিয়ে চিন্তা না করতে হয়, সে জন্যই এই আয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিটি হল ছাড়াও আশপাশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এই কার্যক্রমে প্রতিদিন আগত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমবেশি চার থেকে ৫০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, এর পাশাপাশি অন্য পেশাজীবীদেরও ইফতার দেওয়া হয়।
মাসব্যাপী এই কার্যক্রমে ইফতারের জন্য শিক্ষার্থীদের তাড়াহুড়ো করতে হয় না। বরং, শিক্ষার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ইফতারের জন্য রয়েছে প্রায় ৫০০ চেয়ারের ব্যবস্থা, যেখানে তাদের হাতে ইফতার পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রতিদিন ইফতারে ভিন্ন ভিন্ন মানের খাবার পরিবেশন করা হয় জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ঢাকা মেইলকে জানান, প্রতিদিনের ইফতারের তালিকায় থাকে বৈচিত্র্য। কোনোদিন ফল-ফলাদি, কোনোদিন দই-চিড়া। আবার কোনোদিন পিঠা থাকলে অন্য কোনোদিন থাকে তেহারি বা বিরিয়ানি। সঙ্গে থাকে বোতলজাত বিশুদ্ধ পানি।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শুধু এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের দুঃখ-কষ্ট দুশ্চিন্তার ভাগীদার হতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা চেয়েছি, সারাদিন পড়ালেখা করার পর একজন শিক্ষার্থীর যেন ইফতার নিয়ে চিন্তায় না পড়ে। তারা যেন দিনভর রোজা রেখে পড়ালেখা করে সন্ধ্যায় ইফতার করে রুমে ফিরতে পারে, সেই লক্ষ্যেই মাসব্যাপী আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা মেইলকে বলেন, করোনার পর শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেও আমরা বিবেচনায় রেখেছি একজন শিক্ষার্থীর কী কী জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশে ইফতার একজন শিক্ষার্থীর জন্য অতি জরুরি প্রয়োজন মনে করেই ছাত্রলীগ এ আয়োজন করেছে।
বিষয়টিতে ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ বলেন, ইফতার কার্যক্রমটি আমরা নিজেদের তত্ত্বাবধানে, নিজেরাই বাজার করে, নিজেদের হাতে প্রস্তুত করি। প্রতিদিন কয়েকশো শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে ইফতারে যোগ দেন। এমন ধারাবাহিক আয়োজন এর আগে কখনও হয়নি। মাসব্যাপী এই কার্যক্রম ঈদের দিন সেমাই ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে শেষ হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.